পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালামাল ও যন্ত্রপাতি পৌঁছাতে ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেললাইন প্রকল্পের শেষ হওয়া কাজ পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. লুৎফর রহমান।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অফ পয়েন্ট থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেঁষে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নবনির্মিত নতুন রেল স্টেশনসহ প্রকল্প সমূহ পরিদর্শন করেন তিনি।
এর আগে দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে আসেন তিনি। এসময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্লাটফর্ম উঁচু, ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ এলাকা ঘুরে দেখেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে সরাসরি ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আসাদুল হক, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ব্রিজ) হাসান আলী, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) আতিকুল ইসলাম, ঈশ্বরদী রেল জংশন স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মহিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রকল্পের আওতায় ভারতের জিপিটি বাংলাদেশের এসসিএল ও সিসিএল অংশীদারত্বের ভিত্তিতে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ৩৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালামাল-যন্ত্রপাতি পৌঁছাতে ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মিত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ২২ দশমিক ০২ কিলোমিটার মূল লাইন, ৪ দশমিক ০৫ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৩টি লেভেল ক্রসিং গেট, একটি 'বি' শ্রেণীর স্টেশন ভবন, একটি প্লাটফর্ম, সাতটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি চালু হলে চট্টগ্রাম ও খুলনা বন্দর থেকে ডুয়েলগেজ রেললাইন দিয়ে সহজে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল পরিবহন সম্ভব হবে। তাছাড়াও ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্লাটফর্ম উঁচু, ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা প্রবর্তন, লোকোমোটিভ কারখানায় ডগপিট নির্মাণ শেষ হয়েছে।
৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঈশ্বরদী-রূপপুর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিসহ ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্প নির্মিত হয়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
আরএ