জবি: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকে নিক্ষেপকারীকে শনাক্ত করা হয়। তার নাম ইশতিয়াক হুসাইন, তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৯তম ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
উপদেষ্টার ওপর বোতল ছুঁড়ে মারার বিষয়ে সেই শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হুসাইন বলেছেন, বোতল নিক্ষেপের ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না। তার ব্যাপারে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ইশতিয়াক হুসাইন বলেন, ‘আমি বোতলটি আকাশের দিকে ছুড়ে মারি। আমার কাউকে আহত-নিহত কিংবা অপমান করার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে গিয়েছি। পুরো ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। ’
তাকে রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যাপারে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমি কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি সেখানে অর্থনীতি ১৯ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যাই। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ছবি থাকায় পুলিশ আমাকে মারে। এখন আমাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা- প্রোপাগান্ডা। ’
হুসাইন বলেন, ‘আমি পড়াশোনায় পাশাপাশি চাকরি করি। পার্ট টাইম জব, টিউশন করে চলি। আমার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দলে সময় দেওয়া সম্ভব না। ’
তিনি অভিযোগ করেন, বুধবার ঘটনার পর তাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছে। ক্যাম্পাসে গেলে তাকে মব দিয়ে হেনস্তা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তথ্য উপদেষ্টার ওপর বোতল নিক্ষেপকারীকে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে গিয়েছিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে কথা বলার এক পর্যায়ে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল উড়ে এসে তার মাথায় পড়ে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এনসিপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে মাহফুজ আলম বলেছেন, তাদের নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির প্রতি যে হিংসা আট মাস ধরে রয়েছে এবং তাদের যে হিংস্রতা অনলাইনে দেখা যায়, তারা আজকে এখানে এটা করেছেন।
এসএএইচ