ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে যানজট। পুরান ঢাকা, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, উত্তরার সমাবেশ-পদযাত্রাস্থলের আশপাশের মানুষকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই নিজ নিজ দলের কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিল আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসব রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে এসব সড়কে তৈরি হয় যানজট।
ছুটির দিন হওয়ার পরও শুক্রবার সমাবেশ-পদযাত্রার আশপাশের রাস্তায় তৈরি হয় যানজটের ভোগান্তি। যারা ছুটির দিনে এসব এলাকায় বেরিয়েছেন তারা পড়েন নানা বিড়ম্বনায়। এদিন বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় নারী ও শিশু থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগীদের। যারাই পথে বেরিয়েছেন তাদের যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচির ফলে রাজধানীতে যানজটের বিষয়ে পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবীব বলেন, একটি নগরের নাগরিকরা মানসিক-শারীরিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ছাড়া বেড়ে উঠতে পারে না। নাগরিকের বেড়ে ওঠার জন্য হলেও রাজনৈতিক কর্মসূচি কিছুটা সিমিত করার পক্ষে মত দেন এ নগর পরিকল্পনাবিদ।
তিনি বলেন, এ সময়টাই মানুষ বিনোদনের জন্য ঘরের বাইরে যায় কিন্তু আমরা নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত বিনোদনের জায়গা তৈরি করতে পারিনি। যে কয়েকটা উন্মুক্ত জায়গা আছে সেগুলোতেও যদি প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক কর্মসূচি চলে তাহলে এ নগরের মানুষ কোথায় যাবে?
স্থপতি ইকবাল বলেন, বন্ধের দিনও ঢাকার রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচি চলে। যে কারণে বাসা থেকে বের হলেও কবে বাসায় ফেরত আসতে পারবো তার কোনও নিশ্চয়তা থাকে না। এভাবে যে প্রজন্ম আমরা তৈরি করছি তাদের মধ্যে রাজনীতির বিষয়ে ঘৃণা তৈরি হবে। যার কারণে তারা রাজনীতি থেকে ধুরে থাকতে চাইবে। রাজনীতি যদি জনগণের জন্য হয়ে থাকে তাহলে এ রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি করলে দলগুলোর উচিত হবে প্রধান সড়কগুলো বাদ দিয়ে কর্মসূচি দিতে হবে। এ ধরনের কর্মসূচি নির্দিষ্ট জায়গায় করা যায় কিনা সেটাও চিন্তা-ভাবনার সময় এসেছে।
বাংলাদশে সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
আরবি