ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বিওয়াইডি কর্নার উদ্বোধন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বিওয়াইডি কর্নার উদ্বোধন

ঢাকা: তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন (বিওয়াইডি) কর্নার  উদ্বোধন করা হয়েছে।  

রোববার (১৯ নভেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ও শিক্ষা  উপমন্ত্রী  মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল যৌথভাবে  এ কর্নার উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন অ্যালামনাইদের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্নার উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন একটি বহুল আলোচিত কার্যক্রম, যা ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আন্তর্জাতিক যুব বিনিময় কার্যক্রমের অধীনে পরিচালিত হয়। এ কর্মসূচির লক্ষ্য, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়,নেতৃত্বের বিকাশ ও মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ প্রোগ্রামটি প্রায় ৮০০ জন বাংলাদেশি যুবককে ভারত সফর করার এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়াকে উৎসাহিত করে এমন বিভিন্ন কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।


বিওয়াইডি কর্নার ডেলিগেটদের একে অপরের সঙ্গে দেখা,আলাপচারিতা ও তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করার জন্য একটি অনন্য সুযোগ দেবে। অ্যালামনাইদের জন্য বিওয়াইডি কর্নারে নিয়মিত সাক্ষাতের আয়োজন করা হবে। এছাড়া হাইকমিশন ও তরুণ অ্যালামনাইদের মধ্যে আদান-প্রদানকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রোগ্রাম চলাকালে একটি বিওয়াইডি অ্যালামনাই পোর্টালও চালু করা হয়। হাইকমিশন বিওয়াইডি অ্যালামনাইদের ইন্টার্নশিপ, স্কলারশিপ ও অন্যান্য পরিষেবার ক্ষেত্রে আরও সুযোগ ও সুবিধা দেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তার বক্তব্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি মূল্যবান যোগসূত্র হিসেবে তরুণদের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধন স্থাপনে বাংলাদেশের প্রাণবন্ত ও গতিশীল যুবসমাজের দক্ষতার প্রতি তার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্কের তাৎপর্যও তুলে ধরেন, যার মূলে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের যৌথ আত্মত্যাগ। তিনি তার আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনের অ্যালামনাইরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তাদের সম্প্রদায়, তাদের দেশ ও বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন অ্যালামনাইদের এ একত্রিত হওয়া তাদের পুনরায় সংযোগ, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া ও সহযোগিতার মূল্যবোধের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণের একটি অনন্য সুযোগ ছিল, যা এ কার্যক্রমের অন্তরালের মূল ধারণাকে সমর্থন করে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
টিআর/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।