ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুরের ফুটপাতে ঈদের বেচাকেনা জমজমাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
মিরপুরের ফুটপাতে ঈদের বেচাকেনা জমজমাট

ঢাকা: আর দুদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ আনন্দে শামিল হতে সিয়াম পালনকারীরা পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজনদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পোশাক-আশাক কিনে থাকেন।

বড় বড় শপিং মল থেকে শুরু করে রাস্তার ধারে ফুটপাতে রোজার শেষ কয়েকদিন ব্যাপক বেচা-কেনা হয়। রাজধানীর মিরপুরের ফুটপাতগুলোতেও বেচা-কেনা চলছে ব্যাপক হারে। মানুষ প্রখর রোদ ও তীব্র গরম উপেক্ষা করে প্রিয়জনদের জন্য পোশাকসহ নানা পণ্য কিনছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের চারপাশের ফুটপাতগুলোয় এ চিত্র দেখা যায়। ফুটপাতগুলোয় তিল ধারণের জায়গা নেই। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে চলছে দরদাম। দরদাম মিললেই নিজ নিজ পছন্দের পণ্য কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

ফুটপাতের দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজানের শেষ সময় ব্যবসা হচ্ছে। তবে রোজা আর প্রচণ্ড গরমের কারণে ইফতারের আগে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম থাকে। ইফতারের পর আরও বেশি ভিড় হয়। ভিড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেচাকেনাও বাড়ে। বড় মার্কেটে এসি থাকে, ফুটপাতে বাতাসের জন্য ফ্যানও রাখা যায় না। তারপরও বিক্রি ভালোই হচ্ছে।

ফুটপাতে বাচ্চাদের ড্রেস বিক্রেতা হাসান বলেন, এবার ভাবছিলাম বেচাকেনা অনেক কম হবে। তবে বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। আশা করছি আরও শেষ দুয়েকদিনে বিক্রি আরও বাড়বে।

বড়দের শার্ট ও বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট বিক্রেতা ফেরদৌস মোল্লা জানান, রোজার শুরুর দিতে বেচা-বিক্রি তেমন ভালো হয়নি। তাদের ভাবনাতেও ছিল বেচা-কেনা ভালো হবে না। তবে, রোজার শেষ দিকে বিক্রি ভালো হচ্ছে। চার পাঁচ দিন থেকে ক্রেতারা বেশি আসছেন। ইফতারের পর বেচাকেনা বেশি হয়।

ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কিছু অংশ আবার বলছেন, গত দুই তিন বছর করোনাভাইরাস মহামারী থাকলেও ঈদের ব্যবসা ভালো হয়েছিল। এবার করোনা না থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই হিমসিম খাচ্ছেন। ঈদের কেনাকাটায় তারা কাটছাঁট করছেন। বেচাকেনা গত দুই তিন বছরের তুলনায় কিছুটা কম।

ইমরান খান নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমরা অল্প লাভে পণ্য বিক্রি করি। কারণ ফুটপাতের ক্রেতারা নিম্ন আয়ের। যে কারণে কেনার চেয়ে কিছু দাম বেশি পেলেই পোশাকগুলো তাদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছি। বেচা-কেনা কম, তারপরও যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে।

বাচ্চার জন্য পোশাক কিনতে আসা আওলাদ হোসেন বলেন, গতবারের চেয়ে এবার দাম বেশি। সাধ্যের মধ্যে দেখে শুনে দরদাম করে কিনতেও কষ্ট হচ্ছে। দুই বাচ্চার মধ্যে একজনের ড্রেস কিনেছেন তিনি। অপরজনের জন্য ড্রেস পছন্দ হয়েছে; কিন্তু সাধ্যানুযায়ী মেলাতে কষ্ট হচ্ছে।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফুটপাতের দোকানগুলো ঈদের আগেই বেচাকেনা বেশি হয়। সাধারণত অন্যান্য সময় ফুটপাতে দোকান না বসাতে বিভিন্ন সংস্থা থেকে বলা হয়। ঈদের সময় তাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়। এবারও তেমন হয়েছে। প্রথম দিকে বেচাকেনা না হলেও শেষ দিকে পোশাক বিক্রির বেড়েছে। আগামী দুদিন আরও বাড়বে বলেও তারা আশা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
আরকেআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।