ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অব্যবহৃত পড়ে আছে পৌনে ১২ লাখ টাকার ৩৯ বেসিন

এস এস শোহান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৩
অব্যবহৃত পড়ে আছে পৌনে ১২ লাখ টাকার ৩৯ বেসিন

বাগেরহাট: বাগেরহাটে অব্যহৃত অবস্থায় পড়ে আছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণ করা ৩৯টি হাত ধোয়ার বেসিন। করোনার সময়ে নির্মাণ করা এসব বেসিন দীর্ঘদিন ধরে কেউ ব্যবহার করছেন না।

বেশিরভাগ জায়গায় বেসিনের ট্যাপগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, পানির সংযোগও বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোথাও বেসিনের ওপর ময়লা ফেলা হচ্ছে।

খোদ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনের বেসনিটিও আর ব্যবহৃত হয় না। বেসিনের ট্যাপ ৩টি ভেঙে ফেলেছে কেউ। এক কথায় বলা যায় ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় নির্মাণ করা এসব বেসিন এখন অকেজো স্থাপনা ছাড়া আর কিছুই না।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারীর সময়ে বাগেরহাট জেলা শহরসহ ৯টি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাধারণ মানুষের হাত ধোয়ার জন্য ৩৯টি বেসিন স্থাপন করা হয়। প্রতিটি বেসিনে দুই থেকে ৪টি পর্যন্ত ট্যাপ ছিল। কিন্তু বেশিরভাগ স্থানে কয়েকদিন পরই বেসিনের ট্যাপগুলো নষ্ট হয়ে যায়। একবার নষ্ট হওয়ার পর আর কেউ ওই ট্যাপগুলো সংস্কার করেনি। বিগত কয়েকমাস ধরে প্রতিটি বেসিনই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

শুধু জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নয়, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তৈরি বেসিনগুলোও এখন আর ব্যবহার হয় না। স্থানীয়দের দাবি টাকার অপচায় ছাড়া আর কোনো কাজেই আসেনি এই বেসিনগুলো।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের করা একটি বেসিন রয়েছে শহরের স্বাধীনতা উদ্যানের সামনে। বেসিনের ট্যাপ থেকে পানি পড়ে না। কবে নাগাদ এই ট্যাপ থেকে পানি পড়েছে তা বোঝার উপায় নেই। বাগেরহাট শহরের ফলপট্টি মসজিদের সামনের ট্যাপটির অবস্থাও একই। মাঝে মাঝে এই বেসিনে বসে কাঁচামাল বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের বেসিনের ট্যাপ থেকেও আর পানি পড়ে না। নষ্ট রয়েছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসের সামনের বেসিনটিও। প্রতিটি বেসিনেরই অবস্থা একই করম। পানির সংযোগসহ বেসিনগুলো সচল করলে পথচারীদের হাতমুখ ধোয়া, অজুসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে আসবে বলে দাবি সচেতন মহলের।

আরিফুর রহমান নামে এক রিকশাচালক বলেন, টাইলস করা বেসিন, পানির সংযোগ সবই আছে। কিন্তু কিছুই চালু নেই। যখন চালু ছিল, মাঝে মাঝে দুপুরের দিকে হাতমুখ ধুয়ে নিতাম।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনে দেখা হয় শহিদুল ইসলাম নামে এক পথচারির সঙ্গে। বেসিনের ছবি তুলতে দেখে তাচ্ছিল করে বলেন, ‘ছবি তুলে কী হবে? সরকারি টাকা এভাবে খরচ করা হয়। সরকারের টাকা দিয়ে কর্মকর্তারা বানিয়েছেন। কেউ ব্যবহার করল, আর না করল, ভাল থাকল আর না থাকল, তাতে কার কী আসে যায়?’

তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত মল্লিক বলেন, বেশিরভাগ বেসিন সচল আছে। আর লোকজন যদি ব্যবহার না করে তাহলে আমাদের কী করার আছে?

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।