ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি নারীদের কাজ অব্যাহত থাকার আশা স্পিকারের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি নারীদের কাজ অব্যাহত থাকার আশা স্পিকারের

ঢাকা: জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশের নারীরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শনিবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে নিজকার্যালয়ে জাতিসংঘের ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় তারা নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, রোহিঙ্গা ইস্যু, সংসদীয় অধিবেশন, শান্তি মিশনে নারীদের অংশগ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষ সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে একটি পরিবারের স্বামী-স্ত্রী উভয়ের যৌথ নামে ঘর দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে নারীর অধিকার সংরক্ষিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য নগদ ভাতার ব্যবস্থা করছেন। এছাড়াও তিনি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছেন, যা দেশের অতি দারিদ্রের হার কমাতেও সহায়ক হচ্ছে।

নারী শান্তিরক্ষার প্রথম বৈঠকে নিজের অংশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশের নারীরা দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছে। আশাকরি ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে।

স্পিকার বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন স্থান কক্সবাজার জেলার জনসংখ্যার চেয়েও রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে এ সমস্যা সহজেই সমাধান করা সম্ভব।

আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিস পোলার্ড জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী এবং বিশাল অবদানের কথা স্বীকার করেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
এ সময় পোলার্ড বর্তমানে চলমান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমগুলো অতীতের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিপরীতে ক্রমশ জটিল ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে উল্লেখ করে এতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন।

সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের বিশেষ সহকারী দারাগ রাসেলসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।