ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
বগুড়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫ গ্রেপ্তারকৃতরা

বগুড়া: বগুড়ার কাহালু উপজেলায় খালা-ভাগ্নিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

এ সময় অভিযুক্তদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া নগদ টাকার কিছু অংশ ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয় করা হয় ৷

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে বগুড়া নিজ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন হলেন- বগুড়া কাহালু উপজেলার কুশলীহার পূর্বপাড়া এলাকার আশরাফ আলী ফকিরের ছেলে মামলার মূল আসামি আবুল কাশেম মানিক (৩৫) ও মোস্তফা ফকিরের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫), বাগইল দক্ষিণপাড়ার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে রাকিব হাসান (২৩), একই গ্রামের উত্তরপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে শাকিল হোসেন (২৩) ও আইয়ুব আলীর ছেলে আতিক রহমান প্রান্ত (২২)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, ভুক্তভোগী নারী (৩৯) নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কর্মরত। গত ১২ জুলাই তার বোনের মেয়েকে (১৫) নিয়ে রংপুরের তারাগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। রংপুরের বাসিন্দা মো. রব্বানী নামে তার এক সহকর্মীও ছিলেন সঙ্গে। পথে রাত ২টার দিকে বগুড়ার সদরের বারোপুর এলাকায় বাসটি নষ্ট হয়ে যায়। তখন উপায় না পেয়ে রব্বানীর পরিচিত পাইকড় ইউনিয়নের কুশলীহার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে আশ্রয় নেন।  

পরদিন সকালে আবুল কাশেম মানিক এলাকায় রটিয়ে দেন আব্দুর রাজ্জাক বাড়িতে খারাপ মেয়ে নিয়ে এসেছে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে আব্দুর রাজ্জাক তার অটোভ্যানে ভুক্তভোগী নারী, তার বোনের মেয়ে ও রব্বানীকে রংপুরের বাস ধরার জন্য নিয়ে যান। কিন্তু পথে বাগইল গ্রামের বড়পুকুর ব্রিজ এলাকায় আবুল কাশেম ও অন্যরা তাদের পথরোধ করেন। এ সময় তারা ভুক্তভোগীদের মারধর করে ৭২ হাজার টাকা, একজোড়া কানের দুল, মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে ওই নারী ও তার ভাগ্নিকে রাস্তা থেকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, নির্যাতনের ফলে ভুক্তভোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার নারায়ণগঞ্জে ফিরে যান। সেখানে চিকিৎসা গ্রহণের পরে সুস্থ হয়ে স্বামী, সহকর্মী রব্বানী ও আব্দুর রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে কাহালু থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বুধবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে কাহালু থানার পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ ‍সুপার স্নিগ্ধ আখতার, আব্দুর রশিদ, মোতাহার হোসেন, সিনিয়র এএসপি নাজরান রউফ, কাহালু থানার ওসি মাহমুদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।