ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভেদরগঞ্জে হিসাবরক্ষণ অফিসে দুদকের অভিযান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
ভেদরগঞ্জে হিসাবরক্ষণ অফিসে দুদকের অভিযান

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুর জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

এ সময় সেবা গ্রহীতা এক শিক্ষিকার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিস অডিটর আশরাফ হোসেনকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মাদারীপুর জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে ১০৬ নাম্বারে কল দিয়ে অভিযোগ করেছে ফরিদপুরের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। তার স্ত্রী ভেদরগঞ্জে কর্মরত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার এল পিসির কাগজপত্র পেতে হয়রানি হতে হয় এক মাস। পরে বিকাশে দুই দফায় এক হাজার ও নগদ এক হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিস অডিটর আশরাফ হোসেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমরা শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে অভিযান চালিয়েছি।  

তিনি আরও বলেন, আশরাফ হোসেনের মোবাইলে বিকাশ অ্যাকাউন্ট অ্যাপে এক হাজার টাকার অসংখ্য লেনদেনের স্টেটমেন্ট পাওয়া গেছে। তিনি শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের কাছ থেকেই বেশি ঘুষ নিতেন। এবং অভিযুক্ত আশরাফ হোসেন নিজের ঘুষ আদায়ের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তিনি এ ধরনের অপরাধ আর করবেন না শর্তে প্রাথমিকভাবে লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে বিভাগীয়ভাবে বদলির সুপারিশের জন্য উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার আরিফুল ইসলামকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জেলার বিভিন্ন উপজেলা কার্যালয়ে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

দুদকে অভিযোগকারী ব্যাংক কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ বলেন, আমার স্ত্রী ভেদরগঞ্জের সখিপুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার এলপিসি, দীর্ঘদিন হিসাবরক্ষক অফিসের আশরাফ হোসেন আটকে রেখেছিল। পরে আমার স্ত্রীর সহকর্মীর থেকে জানতে পারে টাকা ছাড়া নাকি কাজ হবেনা। পরে ঐ কর্মকর্তাকে দুদফায় এক হাজার টাকা দিলেও তিনি এলপিসি দেন নি। পরে নগদ আরও এক হাজার টাকা মোট দুই হাজার টাকা ঘুষ দিলে তিনি এসপিসি দেন। ঘুষ নেওয়াটা একদমই উচিত হয়নি। তাই আমি দুদকের ১০৬ নাম্বারে কল করে অভিযোগ করি।

এ ব্যাপারে উপজেলা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হননি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।