ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

'জনগণের স্বার্থে ফের বড় ধরনের সড়ক আন্দোলন প্রয়োজন'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
'জনগণের স্বার্থে ফের বড় ধরনের সড়ক আন্দোলন প্রয়োজন'

ঢাকা: যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেছেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের দৃষ্টি খুলেছিল। জনগণের স্বার্থে ফের বড় ধরনের সড়ক আন্দোলন প্রয়োজন।

এ আন্দোলনের পর যে আইন করা হয়েছে সে আইনের ফলে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। নতুন আইনের সঙ্গে পুরাতন আইনের তেমন কোনো পার্থক্য নেই।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) নিরাপদ সড়ক  (নিচআ)' এ আন্দোলনের পাঁচ বছর উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও করণীয় শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মোজাম্মেল হক বলেন, এ আইন বাস্তবায়নের ফলে কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। ফিটনেস ও ভাড়া নিয়ে আইন সংস্কার করে অনেক উপধারা উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ আইন কেবলমাত্র পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আরও নৈরাজ্য করার সুযোগ করে দিয়েছে।

সড়ক খাতের বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা (বিআরটিএ) কেবল ভাড়া নির্ধারণ করে কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারে কী না যাচাই করে না। ফিটনেস যাচাই-বাছাই করার সময় নেই।

সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানজিদ সোহরাব বলেন, বাসের মালিকনা শ্রমিকের হাতে থাকায় সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না। আর এ অসুস্থ পুঁজির প্রতিযোগিতায় মালিক যখন নিজে যুক্ত থাকছে সেখানে গাড়ির চালকও প্রতিযোগিতায় নামছে। শ্রমিকরা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে পরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় শুধু পরিবহন শ্রমিকদের দোষ দেওয়া হয়। কিন্তু বুয়েটের গবেষণায় এসেছে অন্য কারণ। যারা দায়ী থাকেন সড়কের অব্যবস্থাপনায় তাদের ধরা যায় না। তাদের ধরতে হলে অনুমতি লাগে।

এ শ্রমিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থ দেওয়া হয়েছে চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় সে অর্থ ছাড় দিচ্ছে না। এ অর্থ তো অর্থমন্ত্রীর নিজের না। তাহলে তার দিতে কী সমস্যা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে অর্থ ছাড় হয়েছে তবে অর্থ মন্ত্রণালয় সেটি দিচ্ছে না। তাহলে চালকদের প্রশিক্ষণের কী হবে।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ছাত্রদের আন্দোলন থেকে অন্যরা শিখতে পেরেছে। রাস্তায় যে সুন্দরভাবে আইন মেনে চলা যায় সেটি ২০১৮ সালে ওই সময়ে ছাত্ররা করে দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, এদেশে আইন সবার জন্য সমান না। মন্ত্রীদের জন্য এক আইন আর সাধারণ মানুষের জন্য এক আইন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৪ , ২০২৩
এনবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।