ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সৈয়দপুরে আশ্রয়ণে থই থই পানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
সৈয়দপুরে আশ্রয়ণে থই থই পানি

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে টানা বৃষ্টিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পানি উঠেছে। ফলে সেখানকার ১০৮টি পরিবারের সদস্যরা পড়েছেন দুর্ভোগে।

ঘরের চারপাশে থই থই পানি। বারান্দা থেকে বাইরে পা ফেলার জো নেই। প্রয়োজনে কোথাও যেতে হলে হাঁটু পানি মারিয়ে যেতে হচ্ছে। চলাচলের রাস্তাগুলো সব পানির নিচে।  

এমনকি টিউবওয়েলের পাড়ও তলিয়ে গেছে। উঠানের রান্নাঘরের চুলা ডুবে গেছে।  
 
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ আশ্রয়ণে  গিয়ে দেখা যায়, কর্মজীবী হতদরিদ্র মানুষগুলো প্রয়োজনের তাগিদে পানি ডিঙিয়ে কাজে যাচ্ছেন। তবে সবচেয়ে কষ্টকর হয়ে পড়েছে শিশুদের চলাফেরা। এক দিকে পানিতে পড়ার আশঙ্কা, অন্যদিকে সাপ, পোকামাকড়ের ভয়। তার ওপর রান্নার আয়োজন করতে হচ্ছে ঘরের মেঝেতে বা বারান্দায়। এতে সংকীর্ণ জায়গায় খুবই কষ্ট করে সারতে হচ্ছে সব কাজ। সব মিলিয়ে করুণ মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের।
 
আশ্রয়ণের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন (৬৫) বলেন, এ আশ্রয়ণের ঘরগুলো নির্মাণের সময় সঠিক পরিকল্পনা করা হয়নি। ধানের নিচু জমিতে কোনো মাটি ভরাট না করেই ঘর তৈরি করা হয়েছে। রাস্তা ও উঠান আগের মাটিতেই করায় এবং সেই লেভেলেই ড্রেন বানানোর ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়, নিষ্কাশন হয় না। আর বেশি বৃষ্টি হলে তো দিনের পর দিন পানিতে আবদ্ধ হয়ে পড়ে পুরো আশ্রয়ণ। জানি না কোন আক্কেলে কর্তৃপক্ষ এমন কাজ করেছে।
 
শাহজাদী (৭৪) বলেন, তিনদিন ধরে পানির নিচে ডুবে থাকলেও কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেনি। ঘরে যে সামান্য খাবার ছিল, তা শেষ হওয়ায় না খেয়েই কাটছে। চারদিকে পানি থাকায় না পারছি ছোট বাচ্চাদের রেখে কাজে যেতে, না পারছি কারো কাছে হাত পাততে। কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছি।  

কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, আমরা সব সময় খবর রাখছি। প্রয়োজনে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।