ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভেদরগঞ্জের সেই খাদ্য কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
ভেদরগঞ্জের সেই খাদ্য কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত 

শরীয়তপুর: সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত ও জব্দ করা আলামত নষ্ট করার চেষ্টার ঘটনায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী।  

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোশারফ হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এর আগে তাকে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারীর একটি চিঠি বুধবার (২২ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ওই চিঠি বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়।  

এর আগে গত ১১ নভেম্বর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৩ বস্তা চাল ও ১১০০ খালি চালের বস্তা অবৈধভাবে মজুত রাখার দায়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বাসভবনটি সিলগালা করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ঘটনার পরদিন সন্ধ্যায় সেই সিলগালা বাসভবনের জানালার গ্রিল কেটে মালামাল সরানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ইকবাল মাহমুদ। এ ঘটনায় ইকবাল মাহমুদকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়। এখন ওই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করলে ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। এসব ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করতে ১৩ নভেম্বর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এতে সদস্য করা হয় ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নুরুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কারিগরী খাদ্য পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও জাজিরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেলিম আহমদকে। তদন্তকালে খাদ্য গুদামে ১৮ টন চালের ঘাটতি দেখা দিলে ১৪ নভেম্বর ১০ টন চাল ও ১৫ নভেম্বর আট টন চাল ট্রাকে করে বাইরে থেকে এনে ওই তিন তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই তাদের চালের হিসাব বুঝিয়ে দেন খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ওই তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোশারফ হোসেন বলেন, ভেদরগঞ্জের খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছিল, সেগুলো তদন্ত করা হয়েছে। তিনি সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত করেছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।