ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মহাসড়কে গাড়ির গতিরোধ করে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ১১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৪
মহাসড়কে গাড়ির গতিরোধ করে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ১১

ঢাকা: জেলার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন মহাসড়ক ও এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সর্দারসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লার লালমাই এলাকায় মহাসড়কে গতিরোধ করে মালামালসহ পণ্যবাহী পিকআপভ্যান ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কেরানীগঞ্জ থেকে ১২৫টি অক্সিকন কনস্ট্রাকশন এডমিক্সার নিয়ে নোয়াখালী যাচ্ছিলেন ওই পিকআপভ্যানের চালক শাহেদুল। তাকে মারধর করে মালামালসহ পিকআপভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বিত্তরা।

এ ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারির ধারাবাহিকতায় কদমতলী থানাধীন মুক্তি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সাকিব টি-স্টলের সামনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আবুল হোসেন (৩৫), রহমত আলী (২৮), জসিম মিয়া (৩৩), নয়ন মিয়া (২৪) ও ইব্রাহীমকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপভ্যান, একটি চাপাতি ও একটি ছুরি জব্দ করা হয়।

ওই পাঁচজনের দেওয়া তথ্য মতে কদমতলী থানাধীন শনির আখড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইদ্রিস (২৩), মাসুদ রানা (২৬), কফিল উদ্দিন (৩২) ও হাসান আলীকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে লালমাই থেকে ছিনতাইকৃত ১২৫ ড্রাম অক্সিকন কনস্ট্রাকশন এডমিক্সার বোঝাইসহ একটি পিকআপভ্যান এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত আরও একটি পিকআপভ্যান, একটি চাপাতি ও একটি ছুরি জব্দ করা হয়।

পরে ওই চারজনের দেওয়া তথ্য মতে শনির আখড়া এলাকা থেকে জুয়েল (৩৫) ও আলমাসকে (২৭) একটি চোরাই পিকআপভ্যানসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তাররা ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। তারা দৃশ্যমান পেশা হিসেবে বিভিন্ন পেশায় কাজ করলেও ডাকাতিই তাদের মূল পেশা। আবুলের নেতৃত্বে তারা মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনে ডাকাতি, বাসে ডাকাতি, ঘরবাড়ি ও দোকানে ডাকাতি এবং প্রবাসী যাত্রীদের টার্গেট করে ডাকাতি করেছেন।

তারা মহাসড়কে নির্জন স্থান টার্গেট করে কোনো গাড়িকে ওভারটেকের পরে গতিরোধ করতো। গাড়িতে থাকা ড্রাইভারসহ সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ি ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে যেত। পরবর্তীতে তারা ডাকাতি করা মালামাল এবং গাড়িগুলো বিভিন্ন চোরাকারবারিদের কাছে বিক্রি করে দিত।

একই উপায়ে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতি করে সর্বস্ব লুটে নিতেন তারা। আর মহাসড়কে ডাকাতি করা সম্ভব না হলে বাড়িঘর এবং দোকানপাটে তারা ডাকাতি করতো।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৪
পিএম/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।