ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জিয়া হলের স্থানে ৬ দফা ভবন নির্মাণের দাবি শামীম ওসমানের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
জিয়া হলের স্থানে ৬ দফা ভবন নির্মাণের দাবি শামীম ওসমানের

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের জিয়া হলের জায়গায় নতুন ভবন করে সেটার নামকরণ ৬ দফা ভবন করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। এই স্থানটি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ঘোষণার স্মৃতিবিজড়িত হওয়ায় তিনি এ দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নে শামীম ওসমান এই দাবি জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

শামীম ওসমান বলেন, যারা জাতির পিতার ছয় দফার সাথে যুক্ত ছিলেন, সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। জাতির পিতা নারায়নগঞ্জে গিয়ে ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন। বালুর মাঠ নামে একটি মাঠ ছিল। সেখানে ঘোষণা দেওয়ার পরে তিনি (বঙ্গবন্ধু) গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ওটার স্মৃতিকে ভুলিয়ে রাখতে নারায়ণগঞ্জ মিলনায়তন নামে একটি অডিটোরিয়াম করেন। আমরা বাধা দিয়েছিলাম, মার খেয়েছিলাম, আমাদের মধ্যে অনেকে জেলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ঠেকাতে পরিনি। তার পরে খালেদা জিয়া এসে সেটাকে আবার জিয়া হল নাম দিয়ে; সুপ্রিম কোর্ট থেকে যাকে বলা হয়েছে অবৈধ ক্ষমতা, তার একটা বিশাল ছবি টাঙিয়ে পাথরের মূর্তি দিয়ে ওখানে রাখা হয়েছে। এই জায়গাটি হচ্ছে জেলা প্রশাসকের অধীনে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের দাবি জাতির পিতার পদচিহ্ন ওখানে পড়েছিল, ৬ দফা আমাদের স্বাধীনতার সনদ ছিল।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শামীম ওসমান বলেন, আমরা চাই, ওখানে নারায়ণগঞ্জে আপনার তত্ত্বাবধানে, জেলা পরিষদের মাধ্যমে একটি ভবন হোক এবং সেই ভবনের নাম ৬ দফা ভবন রাখা হোক। এই ব্যাপারে আমরা একটি চিঠি আপনাকে দিলে আপনি দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করবেন কিনা?

এর পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, তিনি স্বপ্ন দেখেছেন একটি উন্নত বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত সকল স্থান আমাদের সবার কাছে স্পর্শকাতর এবং মর্যাদার। আমি রাজনীতির একজন কর্মী হিসেবে, জাতির জনকের আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে যদি বঙ্গন্ধুর কোনো বিষয়ে, কোথাও কোনো ন্যূনতম অসম্মান দেখি সেটা অবশ্যই গোটা জাতি বরদাস্ত করবে না। এটা জেলা পরিষদ জনপ্রতিনিধিত্বশীল স্থানীয় সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন জনগণের দ্বারা। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত সে স্থানকে মর্যাদার জায়গার নেওয়ার জন্য যে কোনো পদক্ষেপ নেবেন, সেখানে আমি অগ্রণী ভূমিকা রাখব। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন, সেটা নিয়ে আমি সমস্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করব এবং যা যা দরকার, সে এলাকাতে বঙ্গবন্ধুর মর্যাদাকে সম্মুন্নত করা এবং এলাকার মানুষের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যে কোনো আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।