ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৬৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৬৩

চাঁদপুর: দেশের একমাত্র মিঠা পানির বিচ হিসেবে পরিচিত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে ধারাবাহিক হামলা, ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনায় থানা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আবেদন করেও ফলাফল না পেয়ে অবশেষে চাঁদপুর আদালতে ৬৩ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান।

মামলায় নামীয় প্রধান আসামি হলেন মো. বোরহান খালাসীসহ ২৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫ জন। এদের বাড়ি মোহনপুর এলাকায়।

এই প্রসঙ্গে কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ধারবাহিকভাবে চলতি মাসের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংঘবদ্ধ আসামিরা মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে প্রায় ৮০ লাখ টাকা মূল্যমানের জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতিসাধন করে। এই প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় দুই শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান। স্থানীয়ভাবে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে আদালতে এসে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার যে কথা বলেছেন, আমরা সে আলোকে কাজ করে যাচ্ছি। এরকম ধারবাহিক হামলা অব্যাহত থাকলে এই প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আমি প্রতিষ্ঠানটি ধরে রাখার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এদিকে পর্যটন কেন্দ্রে হামলা হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আবেদন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। সে আলোকে মামলাও করা হয়।

এছাড়া শুরু থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব সন্ত্রাসী কার্যক্রম, হামলা, লুটপাটসহ পর্যটন কেন্দ্রের সব ঘটনার বিবরণসহ চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কাছে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি আরেকটি আবেদন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এসব ঘটনা আমি অবগত। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গিয়ে কয়েকবার ব্যবস্থা নিয়েছে। পর্যটন কর্তৃপক্ষ ট্যুরিস্ট পুলিশ চেয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু এটি কোম্পানি হওয়ার কারণে ট্যুরিস্ট পুলিশ দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পর্যটনকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্থানীয় লোকদের বিরোধ আছে। তারা যদি স্থানীয়ভাবে এটি সমাধান না করে এবং আমাদের কাছে নির্দিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ না করে তাহলে আমরা কিছুই করতে পারবো না। এই প্রতিষ্ঠানে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে এমন সংবাদও গণমাধ্যমে দেখলাম। যদিও আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।