ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ১০তলা বাড়ি, তদন্ত শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ১০তলা বাড়ি, তদন্ত শুরু

ঝালকাঠি: জেলার সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) খোন্দকার জসিম আহমদের দুর্নীতি-অনিয়ম ও বরিশালে ১০তলা ভবন নির্মাণের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (উপবৃত্তি) মো. কবির উদ্দিনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে খোন্দকার জসিম আহমদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের সাক্ষ্য-প্রমাণ নেবেন। ইতোমধ্যে অভিযোগকারী ও সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় খোন্দকার জসিম আহমদের নানা অনিয়ম এবং বরিশাল শহরে করিম কুটির এলাকায় ১০তলা ভবনের ছয়তলা নির্মাণাধীন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বরিশাল জর্ডন রোড নিবাসী সাংবাদিক বায়েজিদ আহমদ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এসব অভিযোগ তদন্ত করার জন্য সহকারী পরিচালক মো. কবির উদ্দিনকে দায়িত্ব দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে খোন্দকার জসিম আহমদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে ঝালকাঠিতে যোগদানের পর থেকে শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকা আদায় শুরু করেন। অনলাইন শিক্ষক বদলিতে অনিয়ম, ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ স্কুল প্রতি টাকা আদায়, শিক্ষকদের পাসপোর্ট করার অনুমতিতে টাকা নেওয়াসহ নানা অভিযোগে ১৫ জন প্রাথমিক শিক্ষক খোন্দকার জসিম আহমদের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

তখন ২০২৩ সালের ৫ মার্চ তারিখে এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেছেন ঢাকা অফিসের সহকারী পরিচালক (অর্থ) মো. নুরুল ইসলাম। অভিযোগকারী শিক্ষকরা জসিম আহমদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও দেন। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে গত এক বছরেও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝালকাঠির একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানান, খোন্দকার জসিম আহমেদ ঝালকাঠিতে যোগদান করেছেন প্রায় তিন বছর হয়েছে। ২০২৬ সালে তার অবসর যাওয়ার কথা। তিনি সব সময় দাম্ভিকতার সঙ্গে বলেন, যত অনিয়মই করি, আমাকে ২০২৬ সালের আগে কেউ ঝালকাঠি থেকে সরাতে পারবে না। ওপর থেকে এ চুক্তি করেই এসেছি।

অভিযোগকারী সাংবাদিক বায়েজিদ আহম্মদ বলেন, নানা ধরনের চাপ উপেক্ষা করে আমি সাক্ষ্য দিতে যাব। সত্য ঘটনা তথ্য প্রমাণসহ তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তুলে ধরব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোন্দকার জসিম আহমদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি বৈধভাবেই বাড়ি করেছি। সব কাগজপত্র আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তুলে ধরব।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।