ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পঞ্চগড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল আরোহীকে মারধরের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৪
পঞ্চগড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল আরোহীকে মারধরের অভিযোগ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে চেকপোস্টে কাগজপত্র যাচাই করার সময় মোটরসাইকেলের এক আরোহীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।  

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধায় পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকার করতোয়া সেতুর উত্তর-পূর্ব প্রবেশ মুখে এ ঘটনা ঘটে।

 

এদিকে, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মোটরসাইকেল আরোহীর বন্ধু-বান্ধবসহ স্বজনেরা জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এতে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। এতে বিপাকে পড়ে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে ঘরে ফেরা লোকজনেরা।

ঘটনার এক পর্যায়ে খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায়সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে এক ঘণ্টাপর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।  

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলা শহরের বিষ্ণু প্রসাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৫ ব্যাচের ছাত্রদের নিয়ে এক ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় ওই ব্যাচের শাবাবসহ তিনজন বন্ধু ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পরে তারা জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় এলে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য তাদের গতিরোধ করে। পরে একই সময়ে আরও একজন মোটরসাইকেল আরোহী এলে তারও মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য গতিরোধ করে পুলিশ। তবে ওই ব্যক্তি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে চলে যেতে শুরু করলে তাকে ধরার জন্য শাবাবসহ তিন বন্ধুর মোটরসাইকেল চান পুলিশ। পরে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে এক পর্যায়ে শাবাবসহ তিনজনকে চড়, থাপ্পড়সহ মারধর করে পুলিশ। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ২০১৫ ব্যাচের ছাত্ররা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।  

এ বিষয়ে কথা হয় মোটরসাইকেল আরোহী শাবাবের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা ইফতার করার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম। পরে এক পুলিশ সদস্য আমাদের গতিরোধ করে কাগজপত্র দেখতে চান। পরে তাকে আমাদের করণীয় জানতে চাইলে এসময় আরো একজন মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি পালাতে ধরলে তাকে ধরতে আমাদের নামিয়ে গাড়ি চান ওই পুলিশ সদস্য। আমাদের দেরি হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে না দিতে চাইলে এক পর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। পরে আরও কয়েকজন এসে আমাদের মারধর শুরু করেন। এ সময় সড়কে ফেলে আমাদের এক বন্ধুকে বেধরক মারধর করা হয়। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।  

পঞ্চগড় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান বলেন, আমরা আগেও দেখেছি পুলিশ গাড়ি ধরে মামলা দিয়েছে। তবে সেটা যদি নিয়মের মধ্যে হয় কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আজকের এ উদ্ভূত পরিস্থিতি ও এ ঘটনা মোটেই কাম্য নয়। আমি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।