ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দেওয়ার খবরকে ‘গুজব’ বলছে ফায়ার সার্ভিস 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দেওয়ার খবরকে ‘গুজব’ বলছে  ফায়ার সার্ভিস 

ঢাকা: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারের আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোল দিতে হয় বলে খবর ছড়িয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

তবে খোদ ফায়ার সার্ভিসের দাবি, টোল দেওয়ার বিষয়টি গুজব।

আগুন নেভাতে যাওয়ার সময় টোল দিতে হয়নি এবং এ সংক্রান্ত কোনো বিলম্ব হয়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩ এর উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম এ দাবি করেন।  

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ একটি প্রাইভেটকারে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। যাওয়ার সময় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। এছাড়া টোল দেওয়া সংক্রান্ত কোনো ধরনের বিলম্ব আমাদের হয়নি।  

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওইদিন প্রাইভেটকারে লাগা আগুন নেভানোর কাজে অংশগ্রহণ করা একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগুনের সংবাদ পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

ঘটনাস্থলে যেতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। টোল দেওয়ার যে খবরটি বেরিয়েছে সেটি সম্পূর্ণ গুজব। টোল দেওয়া সংক্রান্তসহ কোনো বিষয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়নি ফায়ার সার্ভিসের। আগুন লাগা প্রাইভেটকারটি তেলচালিত বলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রাইভেটকারটি পুড়ে যায়।

টোল দেওয়া সংবাদের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, ওইদিনের ঘটনায় আগুন নির্বাপণে অংশ নেওয়া ফায়ার কর্মীদের সঙ্গে আমরা কথা বলে জেনেছি তাদের কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। টোল দেওয়ার সংবাদটি মিথ্যা।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপণ করলেও ততক্ষণে প্রাইভেটকারটি পুড়ে যায়।

এর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, ওইদিন আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হয়েছে। টোল দিতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছে, এর কারণে আগুন লাগা প্রাইভেটকারটি সম্পূর্ণ পূড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও খবর ছড়ায়, আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাছে তখন কোনো টাকা ছিল না, পরে তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা এনে টোল পরিশোধ করে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর জানায়, জরুরি প্রয়োজনে গমণাগমনের ক্ষেত্রে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ফায়ার সার্ভিসকে কোনোধরনের টোল দিতে হয় না। এছাড়া, ঘটনার দিন আগুনের খবরটি এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষও অবগত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগে তারাই নিজ ব্যবস্থাপনায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপণ করেন। তবে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্বাভাবিক সময়ে চলাচলে অন্য যে কোনো সংস্থার মতো ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হয়, যা স্বাভাবিক বিষয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
পিএম/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।