ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, খালু ও খালাতো ভাই গ্রেপ্তার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, খালু ও খালাতো ভাই গ্রেপ্তার 

বরিশাল: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর এলাকার বাসিন্দা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী তামান্না আক্তারকে (৯) ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহতের খালু সুলাতান হাওলাদার (৫০) ও খালাতো ভাই (গ্রেপ্তার সুলতান হাওলাদারের ছেলে) মো. তাওহীদ হাওলাদার (৩০)।

এদের উভয়ের বাড়ি উজিরপুর উপজেলা সদরের মাদারশী হাসপাতাল রোড এলাকায়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-৮।

র‌্যাব জানায়, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল নিহত তামান্না। গ্রেপ্তারকৃতরা নিহতের স্বজন। এর সুবাদে ২ মে উজিরপুর পৌরসভার হাসপাতাল রোড এলাকায় তার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে তামান্না।  

গ্রেপ্তারদের বরাতে র‌্যাব জানায়, পরের দিন ৩ মে সকাল ১১টার দিকে বসতঘরে একা পেয়ে তাওহীদ হাওলাদার ভিকটিম শিশুকে ধর্ষণ করে। ভিকটিমের চিৎকারে সুলাতান হাওলাদারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারে। স্থানীয়রা জানার আগেই দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তারা ভিকটিম শিশুকে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে বসতঘরের সিড়িঁ কোঠার টিনের রুয়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।  

র‌্যাব জানায়, আসামিরা সুকৌশলে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিম আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার শুরু করে। বিষয়টি ভিকটিমের পরিবারকেও ফোন করে জানায়। তবে এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ঘটনাটি বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ভিকটিমের পরিবার, স্কুলের সহপাঠী, শিক্ষক, অভিভাবক, আত্মীয়-স্বজন এবং বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভাও করে।  

এদিকে ৮ মে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে পরবর্তীতে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং সহায়তার অপরাধে একটি মামলা বরিশাল জেলার উজিরপুর মডেল থানায় দায়ের করেন। মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে র‌্যাব-৮, বরিশাল সদর কোম্পানি কতৃর্ক ছায়াতদন্ত শুরু করা হয়। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১০ এর সিপিসি-৩ ক্যাম্পের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন চুনাঘাট বাজার এলাকা থেকে আসা বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।  

পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত সুলাতান ও তার ছেলে মো. তাওহীদকে উজিরপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব-৮ এর সদর দপ্তর।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।