ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতারণার শিকার সেই পারুল বেগমের ২ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
প্রতারণার শিকার সেই পারুল বেগমের ২ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হবে

ঢাকা: তানোরের পোস্ট মাস্টারের প্রতারণার শিকার পারুল বেগমকে তার গচ্ছিত ২ লাখ  টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনায় ডাক অধিদপ্তর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে ঢাকায় তানোর পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করণীয় সংক্রান্ত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

প্রসঙ্গত, ডাক অধিদপ্তরের তানোর উপজেলা পোস্ট অফিসে পরিবার সঞ্চয়পত্রে টাকা জমা রেখে টাকা ফেরত না পাওয়ায় পারুল বেগমের আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনের প্রতি ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়।

প্রতিমন্ত্রী ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়ায় ডাক অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, পারুল বেগম তানোর উপজেলা ডাকঘরে দুই লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় মুনাফা লাভের আশায় উপজেলা পোস্ট মাস্টার মোহাম্মদ মোকসেদ আলীর কাছে দুই লাখ টাকা জমা রেখেছিলেন এবং মাসে মাসে যথারীতি আগের মতোই মুনাফা গ্রহণ করতেন।

কিন্তু দ্বিতীয়বারে ২ লাখ টাকা জমা রাখার সময় তিনি অফিসিয়ালি কোনো সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেননি অথবা পোস্ট অফিসে এফ ডি, এসবিতে টাকা জমা রাখেননি। পারস্পরিক বিশ্বাসে আর্থিক লেনদেন করেছেন মাত্র। যেহেতু পারস্পরিক বিশ্বাসে টাকা জমা রেখেছেন সে ক্ষেত্রে এর দায় ডাক বিভাগের ওপর বর্তায় না। তা সত্ত্বেও প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট পোস্ট মাস্টারের কাছ থেকে ব্যক্তিগত লেনদেনের টাকা আদায়ে পারুল বেগমকে সহযোগিতাসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন করার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত আজকের এ বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের তানোর ছাড়াও বাংলাদেশের সর্বত্র এমন অসঙ্গতিগুলো খুঁজে বের করে প্রতিহত করা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দির্দেশনা প্রদান করেন। একইসঙ্গে সরকারি রশিদ ব্যতীত যেন কেউ কোনো টাকা লেনদেন না করেন, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

পলক বলেন, ডাক বিভাগের অল্পসংখ্যক অসৎ কর্মীদের জন্য গোটা ডাক পরিবার ও ডাক পরিবারের সব সদস্যদের সম্মান আমরা নষ্ট করতে চাই না। তাই ডাক পরিবারের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে ডাক বিভাগের গ্রহণযোগ্যতা বহাল থাকতে আমাদেরকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে, অসৎ ও অন্যায়কারীদের প্রতিহত করতে হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তানোরের পারুল বেগমের কান্না ডাক বিভাগের দায়বদ্ধতার বিষয়। আর কোনো পারুল বেগমের কান্নার কারণ যেন ডাক বিভাগ না হয়, তাই আমাদের এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা চাই আমাদের ডাক বিভাগের সেবার মান বৃদ্ধি ও সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করে বাংলাদেশের নাগরিকদের নির্বিঘ্ন সেবা প্রদান করতে এবং গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।

আরও পড়ুন: পোস্ট অফিস থেকে গায়েব সঞ্চয়পত্রের দুই লাখ টাকা, দিশেহারা পারুল!


বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুন ২৩,২০২৪
জিসিজি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।