ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাতে তিন ছাত্র আটক, দিনে ছাড়িয়ে নিলেন শাবিপ্রবি শিক্ষকরা

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৪
রাতে তিন ছাত্র আটক, দিনে ছাড়িয়ে নিলেন শাবিপ্রবি শিক্ষকরা

শাবিপ্রবি (সিলেট): গভীর রাতে মেসে তল্লাশি চালিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে আটক করে সিলেট কোতয়ালি থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষক তাদের থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন বলে জানা গেছে।

বুধবার দিবাগত গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন নিহারীপাড়া এলাকার একটি মেস থেকে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। আটকরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মনির হোসেন, পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. সোহাগ, সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আনাস মিয়া।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোতোয়ালি থানায় গেলে তাদের জিম্মায় ওই শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা সবাই নিহারীপাড়ার ব্লক সি-৭১ নম্বর বাসায় মেসে ভাড়া থাকতেন।

মেসে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থী মামুনুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, রাত সাড়ে তিনটায় পুলিশের ওয়াকিটকির শব্দে ঘুম ভাঙে। পুলিশ কক্ষে সবকিছু তল্লাশি করে। বাড়ি কোথায়, কেউ কোনো দল করে কি না, সবাইকে জিজ্ঞেস করে। তারপর সবার মোবাইল চেক করে। পরে তিনজনকে তুলে নিয়ে যায়। আমাকে নিতে চেয়েছিল। আমি পরীক্ষার্থী বলায় ছেড়ে দিয়েছে।

থানা থেকে শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাহ আতিকুল হক ও পরিসংখ্যান বিভাগের খালিদুর রহমান।

এ বিষয়ে অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আমরা খবর পাই, সন্দেহভাজন হিসেবে ওই শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পরে থানার ওসির সঙ্গে কথা বললে আমাদের জিম্মায় শিক্ষার্থীদের ছাড়তে রাজি হন। শিক্ষার্থীরা এখন নিরাপদে আছেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, ওই মেসে মামলার আসামিরা অবস্থান করছেন। রাতে আমরা মেসে যাই। শিক্ষার্থীদের কয়েকজন দরজা খুলে দিলেও একটি কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে ভেতরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। দেড় ঘণ্টা পর কক্ষ খুললে সন্দেহভাজন তিনজনকে থানায় নিয়ে আসি। পরে শিক্ষকেরা এলে তাদের জিম্মায় শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।