ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে শাহজিবাজার-চানপুর সড়কের ব্রিজ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে শাহজিবাজার-চানপুর সড়কের ব্রিজ!

হবিগঞ্জ: জেলার চুনারুঘাটে শাহজিবাজার-চানপুর সড়কের ব্রিজ থেকে দুইটি পিলার ঢলের স্রোতে ভেসে গেছে। ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানের বীম ভেঙে পড়ায় রয়েছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।

এ অবস্থায়ই এর ওপর দিয়ে চা শ্রমিক ও যানবাহন চলাচল করছে।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানের দুটি পিলার ও বীম নেই। যে চারটি পিলারের ওপর ব্রিজ দাঁড়িয়ে আছে সেগুলোর নিচ থেকে ঢালাই ঝরে গেছে। আর দুইদিকে গোড়ার অংশে বড় বড় ফাটল। ব্রিজের মাঝখান নিচের দিকে যাচ্ছে।
 
দেউন্দি চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্রিজের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন এবং প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার চা শ্রমিকের চলাচল। এটি যেকোনো সময় যানবাহন ও মানুষসহ ভেঙে পড়তে পাড়ে।
 
বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক দেবাশীষ দাশ জানান, ৩৫ বছর আগে দেউন্দি চা বাগানের আট, নয় ও দশ নম্বর সেকশনের জন্য ন্যাশনাল টি কোম্পানি পাহাড়ি ছড়ার ওপর এ ব্রিজ নির্মাণ করেছিল। প্রচলিত নাম ‘শনিবাইরা ব্রিজ’। নির্মাণের পর থেকে এখন পর্যন্ত বালুবোঝাই ভারী ট্রাক ও ট্রাক্টর এর ওপর দিয়ে চলাচল করছে।
 
সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কটি তাদের অধীনে নিয়ে পাকা করে। ২০২২ সালে শনিবাইরা ব্রিজেও কিছুটা মেরামত কাজ করে।
 
কিন্তু গত মাসে খোয়াই নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থান থেকে দুটি পিলার ভেসে যায়। তারপরও বাধা উপেক্ষা করে বালুবাহী যান চলাচল করায় এ ব্রিজ মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় ভারী যানবাহন অথবা মানুষসহ পাহাড়ি ছড়ায় ভেঙে পড়তে পারে।
 
স্থানীয়রা বলেন, শাহজিবাজার-চানপুর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার শ্রমিক ও স্থানীয়রা চলাচল করেন। বাগানের চা পাতাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও এ সড়কে আনা-নেওয়া করা হয়। ফলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
 
চা শ্রমিক স্বপন বাউরী জানান, সেতুর ওপর দিয়ে আসা-যাওয়া করতে ভয় হয়। বাগানের মালিক মাঝেমধ্যে মেরামত করে কিন্তু রাতভর বালুবাহী ভারী ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচল করায় ব্রিজটি আবারও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।