ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিখোঁজ মেয়ে ও নাতির সন্ধান পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বৃদ্ধ বাবা-মা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
নিখোঁজ মেয়ে ও নাতির সন্ধান পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বৃদ্ধ বাবা-মা

বাগেরহাট: নিখোঁজ মেয়ে ও দুই বছর বয়সী নাতির সন্ধান পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বৃদ্ধ বাবা-মা। থানা পুলিশ, র‌্যাবসহ প্রশাসনের দারস্ত হয়েও মেয়ের সন্ধান পাননি তারা।

অবশেষে মেয়ে মিম আক্তার জুলি (২১) ও তার ছেলে মো. ওমর ফারুকের ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন বৃদ্ধ বাবা-মা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে দেখা যায় সন্তানহারা মা-বাবাকে। সঙ্গে ছিলেন নিখোঁজের বড় বোন তুলি খাতুন ও তার শিশু সন্তান।

নিখোঁজ মিম আক্তার জুলি বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাট গম্বুজ ইউনিয়নের দক্ষিণ সায়রা গ্রামের শেখ সাঁত্তারের মেয়ে। বছর পাঁচেক আগে পারিবারিকভাবে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার জামগড়া এলাকার মো. মনির হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জামগড়া এলাকায় স্বামীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি।

জানা যায়, স্বামী মো. মনির হোসেনের সঙ্গে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া থাকতেন মিম আক্তার জুলি। ২১ জুলাই সকাল ৮টায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে দুই বছর বয়সী ছেলে ওমর ফারুককে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান তিনি। এরপর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অনেক খোঁজাখুজি করেও সন্ধান না পেয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর নিখোঁজের বড় বোন ফারজানা খাতুন আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি বরাবরও একটি আবেদন করা হয়। দুই মাসেও নিখোঁজ মিম আক্তার ও তার শিশু ছেলের খোঁজ না পেয়ে রাস্তায় নেমেছেন বাবা-মা ও বোন।

নিখোঁজের বাবা শেখ সাত্তার বলেন, আমরা অনেক জায়গায় খুঁজেছি তাদের। কিন্তু মেয়েকে পাইনি। স্বামী মো. মনির হোসেনও আমাদের সঙ্গে খুঁজেছেন। থানা পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন অফিসে আমরা গেছি। কেউ আমাদের সহযোগিতা করে না। আমি মেয়েকে ফিরে চাই।

নিখোঁজ মিম আক্তার জুলির মা হেনা বেগম বলেন, নাতির কথা মনে পড়লে আমার গলা শুকিয়ে যায়। ওই শিশু সন্তানসহ আমার মেয়ের কি হলো। থানায় গেলে আমাদের কোনো সদুত্তর দেয় না। আমরা কার কাছে যাব।

নিখোঁজের স্বামী মো. মনির হোসেন বলেন, অনেক খুঁজেছি আমার স্ত্রী-সন্তানকে কিন্তু পাইনি। আমি আমার স্ত্রী সন্তানকে ফেরত চাই।

নিখোঁজের বোন তুলি খাতুন বলেন, ২১ তারিখের পরে কয়েকটি নম্বর (০১৩০৯-৯০৭৯৫৭, ০১৯৪৪-৬৬৩২৩৬, ০১৩০২-৩৯০০৬২, ০১৯৪০-৩৯৪১৩৩, ০১৯৪৩-৩২৭০২২, ০১৬২৫-২৩২৩০১, ০১৮৬৮-৩৫৭১৪৯) দিয়ে আমাদের ফোন করে ছিল। কেউই বোনের সঙ্গে কথা বলাতে পারেননি। সবাই ভুল তথ্য দেয়। ওই নম্বরের ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারলে, হয়ত বোন ও তার সন্তানকে পাওয়া যেত পারে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এখানে কিছুদিন হয়েছে যোগদান করেছি। খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। নিখোঁজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
এসএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।