ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৬ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট বাংলাদেশে মহাচুরির একটা বন্দোবস্ত: প্রেস সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৬, জুলাই ৩১, ২০২৫
স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট বাংলাদেশে মহাচুরির একটা বন্দোবস্ত: প্রেস সচিব বিএসআরএফ সংলাপে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

ঢাকা: বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে একটা আইন ছিল, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট। এ আইন বাংলাদেশের মহাচুরির একটা বন্দোবস্তের আইন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপ’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীর উপস্থিত ছিলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ'র সভাপতি মাসউদুল হক। সংলাপটি সঞ্চলনা করেন বিএসআরএফ'র সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে একটা আইন ছিল, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর থেকে বাজে ‘ল’ (আইন) আসেনি। এটা ছিলদেশের মহাচুরির বন্দোবস্তের একটা ‘ল’। একটা ল-কে সামনে রেখে এতো চুরি.. আমরা রিপোর্ট করেছি লাখ কোটি টাকা চুরি হয়েছে এ একটি মাত্র ব্লক ব্যবহার করে। আমি আর আমার দুলা ভাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবো, কোথায় কে কোনটা কাজ পাবে। কোনো ট্রেন্ডার প্রসেস নেই, আইনের প্রতি মিনিমাম কোনো নজর নেই। ওই আইনটা বাতিল করা হয়েছে, আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মাথায়। আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।  

শফিকুল আলম বলেন, পুলিশ আমাদের একটা ডকুমেন্ট দিয়েছে ২১ পাতার কি কি কাজ করেছে। আপনি গত এক বছরে পুলিশকে দেখেছেন লেথাল উইপেন (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করতে। আগে কলোনিয়ান একটা ক্রাউড কন্টোলের ‘ল’ ছিল, সে অনুযায়ী করতো। এখন আমরা যেটা করেছি আন্তর্জাতিকভাবে যেটা গ্রহণযোগ্য, ইউএন যেটা বলে সেই কাজটা করছি।  

তিনি বলেন, পুলিশে কাজ হচ্ছে। জুডিশিয়ারিতে যুগান্তকারী কিছু কাজ হয়েছে। জাজ নিয়োগের ক্ষেত্রে। আমি বলবো আপনি ফাইন্যান্স বলেন, এনবিআর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলেন এমন কোথাও নাই যেখানে এই সরকার গত এক বছরে কাজ করেনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বড় একটা সাফল্য স্থিতিশীলতা আনা। ভয়ঙ্কার রকমের একটা দুর্যোগের থেকে একটা দেশকে স্থিতিশীলতায় আনা খুবই কষ্টসাধ্য একটা কাজ। এ সরকার সেটা করতে পেরেছে। আপনারা অনেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বলেন। আমরা পুলিশকে বলেছি- আপনার যা পরিসংখ্যান আছে সবাইকে দেন। এটা যদি দেখায় ডাকাতি বাড়ছে, দেখুক। আমরা তো গোপন করছি না,আমাদের গোপন করার কিছু নেই।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখছি, স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। হা একটা-দুইটা হঠাৎ জঘন্য খুন দেখে অনেকে আতকে উঠছেন, বলছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমি আপনাদের বলবো পরিসংখ্যান দেখেন। আমি বলবো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আসছে এবং সামনে আরও উন্নতি হবে। পুলিশের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে এবং এটা আরও বাড়বে।

শফিকুল আলম বলেন, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করা খুব কষ্ট সাধ্য কাজ। গত ১২ মাসে বর্তমান সরকার এখানে অনেক শ্রম দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি, আপনারা দেখেছেন এখন অনেকেই নিরপেক্ষ। আমরা আশা করি আওয়ামী লীগের অপশাসন থেকে আমাদের সমাজের সবাই এখান থেকে শিক্ষা নেবেন। সাংবাদিকদের জন্যও একটা বড় শিক্ষা।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আবার রাজনৈতিক সরকার আসবে তখন আমরা কতটুকু নিজেকে সংযত করতে পারবো। আপনি একটা রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করতেই পারেন। কিন্তু একটা রাজনৈতিক দলের কিলিং, হত্যাযজ্ঞকে, ব্যাংক লুটকে বৈধতা দেবেন এ কাজগুলো সে সময় হয়েছে। এজন্য হাসিনার মতো মনস্টার তৈরি হয়েছে। এখন থেকে সবাই শিক্ষা নিলে আর একটা মনস্টার তৈরি হবে না।

সামনে নির্বাচন সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলগুলোর ফান্ড বাড়াতে চাঁদাবাজিসহ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে কিন্তু হাই প্রোফাইলের চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার হয়েছে। চাঁদাবাজির বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি। সরকার যথেষ্ট কাজ করেছে, পুলিশ প্রশাসনকে বলে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলে আপনাদের কাছে প্রমাণ থাকলে দেবেন আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো।

জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ