মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গ্রীস্মকালীন সবজি পেঁয়াজ চাষে এসেছে সফলতা। রায়হান নামের এক ব্যাক্তি ১ শতক জমিতে মাত্র ৩০ গ্রাম বীজ ছিটিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নিজ জমি থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করছিলেন চাষী রায়হান আহমেদ। শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত তার গ্রামের নাম খলিলপুর।
তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের দিকে লালতীরের মাঠকর্মীরা একদিন এসে বললেন গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষের কথা। বাড়ির পাশের প্রায় এক শতক জায়গা খালিই পড়েছিল। মাঠকর্মীরা পেঁয়াজ চাষের পদ্ধতি ও হাইব্রিড বীজ দিলেন। আমি শুরু করলাম কাজ। পেঁয়াজের জন্য জমি প্রস্তুত করলাম। জমিতে বীজ ছিটিয়ে দিলাম। কিছুদিন যেতেই দেখি গাছের চারা গুলো উঠছে। গাছ বড় হলে ছত্রাকনাশক ছিটিয়ে দিলাম। এখন আমার প্রতিটি গাছে বড় বড় পেঁয়াজ ধরেছে। খেত থেকে পেঁয়াজ তুলে ওজন করে দেখি ৪ থেকে ৫ টায় এক কেজি হয়ে যায়। দেশী পেঁয়াজের মতো স্বাদ।
যেহেতু এক শতক জায়গায় করে আমি সফল হয়েছি এখন বড় জায়গা নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করবো বলে জানান রায়হান।
লালতীর সীড লিমিটেড এর ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী বলেন, সিলেট বিভাগে এর আগে বানিজ্যিক ভাবে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়নি। আমরা শ্রীমঙ্গলের খলিলপুর গ্রামে একজন কৃষককে উদ্ভুদ্ধ করি পেঁয়াজ চাষে। লালতীর সীড লিমিটেড এর তিনটি জাতের (এলটি হাইব্রিড, বিজিএস-৪০৩ ও রেডহিল) পেঁয়াজের বীজ সরবরাহ করি। এর মধ্যে তুলনামূলকভাবে বিজিএস-৪০৩ ভালো ফলন এসেছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি হয়, সেই কারণে আমরা গ্রীস্মকালে পেঁয়াজ চাষাবাদ করতে পারি না। সরকারিভাবে ও লালতীর এর মাধ্যমে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদে প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে। যাতে আমরা গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজের আবাদটা বাড়াতে পারি। খলিলপুরে লালতীরের প্রদর্শনী মাঠে অনেক ভালো ফলন হয়েছে।
পেঁয়াজ অন্যান্য ফসলের থেকে লাভজনক এবং এর উৎপাদন খরচও অনেক কম। আমরা চাই এটি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক বিস্তার হোক বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সময়: ০৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
বিবিবি/জেএইচ