যশোর: নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে তার ঢেউ যশোরেও আছড়ে পড়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তি ও ম্যুরাল ভাঙচুর করেন।
রাত ১০টায় প্রথম ভাঙচুর করা হয় যশোরে আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত পুরাতন কসবায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে। এখানে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তি গুঁড়িয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা।
এরপর ছাত্ররা হামলা চালান যশোর পৌরসভা চত্বরে। সেখানে সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা হায়দার গণি খান পলাশের উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সেই মূর্তিটিও গুঁড়িয়ে দেন।
শিক্ষার্থীরা সেখান চলে যান যশোর জেলা পরিষদ চত্বরে। এখানে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল ভাঙচুর করেন। এই ম্যুরালটি ০৫ আগস্টের পরও ভাঙচুর করেছিলেন আন্দোলনরতরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন প্রতিটি এলাকা।
তাদের স্লোগান ছিল, 'বৈষম্যহীন বাংলায়, খুনি হাসিনার ঠাঁই নাই', 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', 'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে', 'জনতার বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই' ইত্যাদি।
ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জেলা পরিষদ থেকে মণিহার সিনেমা এলাকা এবং ঝুমঝুমপুরে অবস্থিত সদর উপজেলা পরিষদের দিকে ধাবিত হন। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ধ্বংস করা হবে বলে জানান তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ক্ষুব্ধ নেতারা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিতাড়িত হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে ০৫ ফেব্রুয়ারি ভাষণ দেন তিনি। এটা মেনে নেওয়া যাবে না।
তারা বলেন, ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থানের স্বপ্ন কোনোভাবেই ডালপালা মেলতে দেওয়া হবে না। সে কারণে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সব চিহ্ন দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৫
এসআরএস