ঢাকা, শনিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় স্বামী-সতীনকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় স্বামী-সতীনকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার আলমগীর হোসেন রয়েল ও মোসাম্মত সেলিনা

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ক্লুলেস হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী ও সতীনকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৫।  

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজশাহীর র‍্যাব-৫ ও কিশোরগঞ্জ র‍্যাব-১৪ এর যৌথ দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে- রাজশাহী মহানগরীতে গৃহবধূ হেলেনা খাতুনকে (৩৫) পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী আলমগীর হোসেন রয়েল (৪২) ও সতীন মোসাম্মত সেলিনাকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃত আলমগীর হোসেন রয়েল রাজশাহী মহাগরীর সবজিপাড়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। ও সেলিনা রয়েলের প্রথম স্ত্রী। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার প্যাড়াভাঙ্গা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তারের পর রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর র‍্যাব-৫ ও কিশোরগঞ্জের র‍্যাব-১৪ এর যৌথ দল এ অভিযান পরিচালনা করে। গৃহবধূ হেলেনাকে পুড়িয়ে মারার পর তারা গা ঢাকা দেন। পরে তাদের নামে হত্যা মামলা করেন হেলেনার মা।

র‍্যাবের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- দুই বছর আগে হেলেনাকে বিয়ে করেন আলমগীর হোসেন রয়েল। কিন্তু সংসারে সতীন থাকায় বিয়ের পর থেকেই নানান বিষয় নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জেরে হেলেনাকে পুড়িয়ে হত্যা করেন তারা। এমন অভিযোগে এনে নিহত হেলেনার মা বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর পুলিশের পাশাপাশি এই ক্লুলেস হত্যা মামলার ছায়াতদন্ত করছিল র‍্যাব।

র‍্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সন্দেহভাজন আসামি রয়েল ও তার প্রথম স্ত্রী সেলিনা অবস্থান পাল্টে পাল্টে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের দুজনকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‍্যাব।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মহাগরীর চন্দ্রিমা থানায় হস্তান্তর করা হলে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ তাদের আদালতে পাঠায়।

এর আগে রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে গৃহবধূ হেলেনার পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হেলেনা দু'বছর আগে সৌদিতে নারী কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দ্বিতীয় স্ত্রী হেলেনাকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন রয়েল। কিন্তু ওই ঘরে তেমন কোনো আসবাবপত্র ছিল না। মেঝেতেই ঘুমাতেন ওই নারী। আগুনে তার শরীর ঝলসে গিয়েছিল। আর পাশে শুধু একটা মশারি ছাড়া আর কিছুই পোড়েনি। আর এতেই সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। এছাড়া ঘটনার দিন থেকে স্বামী রয়েল ও তার প্রথম স্ত্রী সেলিনা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
এসএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।