মাগুরা: মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুর মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সেই শোক ছড়িয়ে পড়েছে জেলাব্যাপী।
মৃত্যুর সংবাদ শোনার সাথে সাথে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তারা বলতে থাকেন যেভাবে শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তেমনি দ্রুত ধর্ষক আর খুনিদের ফাঁসি দিতে হবে।
শিশুটির মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই সাধারণ মানুষ শোকাহত হয়ে পড়েন। আশপাশের এলাকাসহ দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে যান শিশুটির বাড়িটিতে। তারা শোকাহত পরিবারের পাশে থেকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে নিজেরাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দুপুর থেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় মুত্যুর সংবাদ প্রকাশ করে হাজারো মানুষ শিশুটিকে নিজেদের বোন, মা, কন্যা বা স্বজন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। সবারই যেন এক কথা ‘ওপারে ভালো থাকিস মা, এই অসভ্য সমাজ তোর না’। সোস্যাল মিডিয়ায় শিশুটির ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তিও দাবি করা হয়।
অনেকে ধর্ষকদের প্রকাশ্য বিচার দাবি করেন। কেউ কেউ বলেন, দীর্ঘ দেড় যুগ দেশে যেভাবে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু ছিল ধর্ষকরা সে কারণে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিতে পারছে বার বার।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে শিশুটির বাড়িতে যেয়ে তার চারা সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি জানান, মরদেহ হেলিকপ্টার যোগে মাগুরা আসার পর শহরের নোমানী ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তাকে শ্রীপুরর সোনাইকুন্ডি গ্রামে কবরস্থনে দাফন করা হবে।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর একটার দিকে মারা যান ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটি।
এর আগে গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী ওই শিশু। ধর্ষক তাকে হত্যারও চেষ্টা চালায়। পরে গত ৮ মার্চ সংকটাপন্ন শিশুটিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ১৩ মার্চ ২০২৫
এসএইচ