ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রবাড়ীতে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হামলা ও পুলিশের গুলিতে নিহত হন ঢাকা টাইমস পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেদী হাসান। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানবন্ধন কর্মসূচিতে এ অভিযোগ করেন মেহেদীর বাবা ও হত্যা মামলার বাদী মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, অন্য মামলায় গ্রেপ্তার বেশ কয়েকজনকে মেহেদী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের মধ্যে ১১ নম্বর আসামি মোহাম্মদপুর থানা ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম, ১৭ নম্বর আসামি যাত্রবাড়ী থানা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর, ১৮ নম্বর আসামি যাত্রাবাড়ী থানা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল হক, ১৯ নম্বর আসামি যাত্রাবাড়ী থানার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, ২০ নম্বর আসামি ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও ২১ নম্বর আসামি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আমাকে বর্তমানে নানাভাবে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। ফলে, আমি ও আমার পরিবার চরম নিরপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।
মানবন্ধনে শহীদ মেহেদীর মা মাহমুদা খাতুন বলেন, আমি আমার সন্তানের হত্যাকারী আসামিদের ফাঁসি চাই। আমার সন্তান নেই, এটা মেনে নিতে পারি না। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই বিকেলে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও পুলিশের গুলিতে মেহেদী হাসান নিহত হন। এরপর এ হত্যা মামলা নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর তার বাবা মোশাররফ হোসেন আদালতের দ্বারস্থ হলে শেষ পর্যন্ত ১৫ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি যাত্রাবাড়ী থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন আদালত। সেখান থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশনায় ছয়জনকে বাদ দিয়ে ২২ জনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করে যাত্রবাড়ী থানা। এ ছাড়াও মামলায় কয়েকজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৫
ইএসএস/এমজেএফ