ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্রলীগের সাদ্দামের গ্রামের বাড়িতে ফের আগুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
ছাত্রলীগের সাদ্দামের গ্রামের বাড়িতে ফের আগুন পুড়ছে খড় ও খড়ির ঘর

পঞ্চগড়: জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের গ্রামের বাড়িতে আবারও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বোদা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় সাদ্দামের গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এতে বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও কাঠখড়ি রাখার ঘর পুড়ে যায়।  এক ঘণ্টা চেষ্টার পর বোদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এর আগে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুরো বাড়ি জ্বলে যায়।

এদিকে সাদ্দামের বাড়ির অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে সন্ত্রাসীরা আবারো আগুন দিয়েছে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা কোনোভাবে জীবন রক্ষা পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে পুড়ে যায় পুরো বাড়ি। পরে সাদ্দামের মা, অসুস্থ বাবা ও বড় ভাই বাড়ির তিনটি ঘর মেরামত করে আবারো বসবাস শুরু করেন বলে জানা যায়। এর পর আবারো অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলো।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, সাদ্দাম হোসেনের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে মধ্য রাতে আগুন দেখে স্থানীয়রা খবর দেয়। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের টিনশেডের ঘরটিতে খড় ও খড়ি রাখা ছিল।

বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সাদ্দামের বাড়ির খড় ও খড়ির ঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দুটি ইউনিট খবর পেয়ে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে হিসেব করেছি। তবে আগুনের সূত্রপাত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মধ্য রাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই খড়ের ঘরে ১০ বিঘা জমির খড় রাখা ছিল। আমার স্বামী তিন বছর ধরে বিছানায় পড়ে রয়েছে। ৫ আগস্টে পুড়ে যাওয়া ঘরের কয়েকটি রুম আমরা সংস্কার করে বসবাস করছি। খড়ের ঘরটি আমাদের ঘর থেকে দূরে ছিল। তবে আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই প্রশাসন এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে কারা আগুন দিয়েছে তা খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

এ বিষয়ে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।