পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ বন্ধে আগে নিজেকে বদলাতে হবে, পরে সমাজ বদলাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পরিবেশ সচিব বলেন, বাজার কমিটি ও সরকারি দপ্তরের সহযোগিতায় নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিকমুক্ত মডেল বাজার গড়া সম্ভব। এরকম বাজার গড়ে উঠলে কমিটিকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংগঠনকে যুক্ত করে কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, নদী-খাল ভরাট হচ্ছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক মানবদেহে প্রবেশ করছে। সরকার নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ অভিযান পরিচালনা করছে এবং পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানো ও বিকল্প পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ সচিব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে কঠোরভাবে ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১’ অনুসরণ করার নির্দেশ দেন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ। উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু মূল প্রবন্ধে পলিথিনের ক্ষতি ও সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ, বন বিভাগ, সরকারি দপ্তর, ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে মতামত দেন।
জিসিজি/এমজেএফ