ঢাকা: গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, (ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার) ১৫ বছরে শেয়ারবাজারে এক ডাকাতকে সরিয়ে আরেক ডাকাতকে আনা হয়েছে, যারা ভেতরে ভেতরে একই সূত্রে গাঁথা।
শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অস্থিরতা এবং সাম্প্রতিক দরপতন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, কবে শেয়ারবাজার ঠিক হবে সে টাইমলাইন আমি বলতে পারবো না। এগুলোর তো কিছু প্র্যাকটিক্যাল বিষয় আছে। ইচ্ছা করলেই আপনি বললেন যে কালকে আনব, আনা তো যায় না।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকাল বলেছেন যে, শেয়ার মার্কেটে যাতে একটা মিনিংফুল রিফর্ম (অর্থবহ সংস্কার) হয়। এমন যেন ব্যবস্থা না হয় যে, আমি এক ডাকাতকে সরিয়ে আরেক ডাকাতকে আনলাম এবং আরেক ডাকাত এসে প্রথমে কিছু ব্যবস্থা নিল, শেয়ার মার্কেট কিছুটা ভালো হলো, সবাই খুশি হলেন।
‘শেয়ার মার্কেটটা যেন ডাকাতদের আড্ডাখানা না হয়। এটা আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে। যাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের সবার সুবিধা নিশ্চিত হয়। যাতে সংঘবদ্ধ চক্র শেয়ারবাজারকে ম্যানিউপুলেট (কারসাজি) না করতে পারে। ’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে কী হয়েছে? ২০১০ সালে যে ভয়াবহ ডাকাতি হয়েছে শেয়ারবাজারে, কোনো ধরনের কোনো জবাবদিহিতা এসেছে এটার মধ্যে? কেউ কি এটার জন্য আইনের আওতায় এসেছেন? আসেন তো নাই। ওই সময়ে যেটা হয়েছে, এক ডাকাত সরিয়ে আরেক ডাকাতকে আনা হয়েছে।
সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কথা হচ্ছে যে এমন বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনতে হবে যে যারা নির্মোহভাবে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে একটি রিফর্মের জায়গায় নিতে পারবেন। যাতে সবাই বেনেফিটেড (লাভবান) হয়। শেয়ারমার্কেটের ক্লিন-আপ প্রসেসটা (পরিচ্ছন্নতার প্রক্রিয়া) যদি ঠিকভাবে হয়, বিশ্বাস করেন এই শেয়ারমার্কেটটা উঠবে।
ইএসএস/এমএম