ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কমেছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।
তিনি বলেন, পরীক্ষার আগেই বিভিন্ন অপরাধী চক্র ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াতে শুরু করে। যাদের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা এবং প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে সিপিসি গুজব ও প্রতারণা রোধে মনিটরিং জোরদার করে।
তিনি আরও বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় সিপিসি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নজরদারি করে। ফলস্বরূপ ১৭টি ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহকারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ, টিকটক অ্যাকাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেল শনাক্ত করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্টদের মোবাইল নম্বর, আইপি অ্যাড্রেস ও অন্যান্য ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করে অপরাধীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
সিআইডির এ বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইন, ২০২৩-এর ৮ ধারা অনুসারে এসব প্রতারণামূলক কনটেন্ট সরাতে উচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে কনটেন্ট টেকডাউন রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে বিভ্রান্তিকর কনটেন্টগুলো অপসারণ হয় এবং ভবিষ্যতে এমন প্রচারণা বন্ধে প্রতিরোধমূলক শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে যায়।
তিনি বলেন, এ উদ্যোগের ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর গুজব ও সাইবার প্রতারণার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর ফলে পরীক্ষার্থীরা নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পেরেছে এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবক মহলে আস্থা ফিরে এসেছে। এরই মধ্যে সিপিসির পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে কেউ ভুয়া অফার বা গুজবে প্ররোচিত না হয়। সন্দেহজনক কোনো তথ্য বা কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলে নিচের যোগাযোগ মাধ্যমে তা জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সিপিসি হেল্পলাইন: ০১৩২০০১০১৪৬- ৪৮
ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/cpccidbdpolice
ই-মেইল: cyber@police.gov.bd
এজেডএস/জেএইচ