টঙ্গীতে ট্রাভেল ব্যাগে খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ হত্যার ঘটনায় শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১ অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।
তিনি জানান, শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গী পূর্ব থানার মাছিমপুর এলাকায় সড়কের ধারে দুটি ট্রাভেল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। ব্যাগ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে পুলিশ খুলে দেখে এর ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ৩৫ বছর বয়সী অলি মিয়ার মাথাবিহীন আট টুকরো লাশ। নিহতের বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামে।
তিনি আরও জানান, মামলার পর র্যাব-১ ও র্যাব-৭ যৌথভাবে অভিযান শুরু করে। অভিযানে চালিয়ে ৯ আগস্ট চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে মূলহোতা আপেল মাহমুদ সাদেক, তার স্ত্রী শাওন বেগম ও সহযোগী সাজ্জাদ হোসেন রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, তিনটি সিম কার্ড ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এবং পূর্বের বিরোধের কারণে অলি মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ টুকরো করে ট্রাভেল ব্যাগে ভরে ফেলে রাখা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, এদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এর পেশায় ব্যবসায়ী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসামিদের বসবাসরত বাসার বাথরুমের বাংকারের ওপর থেকে হত্যার আলামত ও লাশ কাটায় স্কু ব্লেট ব্যবহার করা হয় তা উদ্ধার করা হয়েছে।
এমএমআই/এএটি