ঢাকা, শুক্রবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৩ মে ২০২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

সাত দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:২২, মে ২৩, ২০২৫
সাত দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাত দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীরা।

ঢাকা: সাত দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বুধবার (২১ মে) সকাল থেকে টানা অবস্থান ধরে রেখেছেন তারা।  

এ সময় ‌‘চুক্তি থেকে মুক্তি চাই, নিয়মিত চাকরি চাই, আরইবির দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিপাত যাক, চেয়ারম্যানের অপসারণ, শহর গ্রামে বিদ্যুৎ বৈষম্য দূরীকরণসহ নানা স্লোগান দিয়ে শহীদ মিনার এলাকা মুখরিত করে রাখেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা।  

বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে কর্মসূচিতে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন, চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও মামলা প্রত্যাহার, অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বক্তব্য ও স্লোগান দিচ্ছেন বক্তারা।

সাত দফা দাবিগুলো হলো:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ। এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন। মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পৌষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল। গ্রাহক সেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সব হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করতে হবে। জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার ফুয়াদ, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা লোকমান হোসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক উইং এর প্রধান সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিক নেতা, সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা।  

সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাও বাড়ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণসহ দুই দফা দাবিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

টিএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।