ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ৩০ জুন ২০২৫, ০৪ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

প্রাণিস্বাস্থ্য নিশ্চিত করেই মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা সম্ভব : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:০১, জুন ৩০, ২০২৫
প্রাণিস্বাস্থ্য নিশ্চিত করেই মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা সম্ভব : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

প্রাণিস্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমেই মানুষের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রোববার (২৯ জুন) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অ্যানিমেল সায়েন্স ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ আয়োজিত ডিন’স অ্যাওয়ার্ড ও ওরিয়েন্টেশন–২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির নানা ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এদের সুস্থ না রাখলে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে। অসুস্থ প্রাণির মাংস গ্রহণে মানুষও অসুস্থ হতে পারে। তাই প্রাণিস্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনোভাবেই আপোষের সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রাণি থেকে মানুষে অনেক রোগ সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে প্রাণি ও মানুষের স্বাস্থ্যকে আলাদা করে দেখা ঠিক নয়। প্রাণিস্বাস্থ্যকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

নারী শিক্ষার্থীদের ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে প্রশংসা জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, গ্রামীণ নারীরাই গরু-ছাগল পালনের মূল দায়িত্বে থাকেন। তারা নারী ভেটেরিনারিয়ানদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন, যা প্রাণিসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করে।

তিনি আরও বলেন, ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অ্যানিমেল সায়েন্স একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাণির স্বাস্থ্য এবং উৎপাদন একে অপরের পরিপূরক। তাই দুটি শাখাকে একসাথে নিয়ে আসার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে।

সরকারের চলমান কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ক্ষুরারোগসহ নানা সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। এসব রোগ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে প্রাণিপণ্য, বিশেষ করে গরুর মাংস রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। আমরা যদি উৎপাদন বাড়াতে পারি, ফিড ও বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারি, তাহলে দেশীয় গরুর মাংসের দামও সহনীয় হবে। এতে বিদেশ থেকে মাংস আমদানি নয়, বরং রপ্তানি সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যানিমেল সায়েন্স ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফ, ঢাকা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মিশ্র খাদ্য উৎপাদক সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের চেয়ারম্যান কমান্ডার জহিরুল আলীম ও বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।

এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।