ঢাকা: রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত মোরশেদ আলম তানিম (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তানিম লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার বামনী গ্রামের ফিরোজ আলম আমিরের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল তিনি। থাকতো পুরান ঢাকা বংশাল নুর বক্স লেনে নানির বাসায়। তার বাবা-মা থাকেন নাজিমউদ্দিন রোডের সুক্কু মিয়ার গলিতে। পুরান ঢাকার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি।
নিহত তানিম বাবা ফিরোজ আলম জানান, সোমবার দিনগত রাতে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন জেলখানা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তানিম। সেখানে মাকুশাহ মাজারের সামনে দুই ছিনতাইকারী পেছন থেকে এসে তাকে ধরে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তার সঙ্গে যে বন্ধুরা ছিল তারা তার থেকে কয়েক হাত সামনে হাঁটছিল। তখন বাধা দিলে তানিমের পেটে ছুরিকাঘাত করেন ছিনতাইকারীরা। এরপর ছিনতাইকারীরা পালিয়ে গেলে তার বন্ধু ও পথচারীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তানিমের স্বজনদের বিষয়টি জানায়। পরে স্বজনরা হাসপাতালে এসে তাকে আহত অবস্থায় দেখতে পান।
তিনি জানান, ওইদিন হাসপাতাল থেকে তানিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে বাসায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন ভোরে তিনি মারা যান।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক উদ্দিন জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা জানিয়েছেন, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এজেডএস/আরআইএস