রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (মিটফোর্ড) এলাকার সামনে জনসম্মুখে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) হত্যার ঘটনায় আরও একজন এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১২ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম মো. টিটন গাজী। কোতয়ালী থানা পুলিশ টিটন গাজীকে গ্রেপ্তার করে।
দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
এদিকে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ এবং দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বাকি দুইজন হলেন-মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)। গ্রেপ্তার তারেকের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পাথর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।
সংবাদ পাওয়ার পরপরই কোতয়ালী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুইজন এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হত্যার কারণ সম্পর্কে ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ও বাকি জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসসি/এসআইএস