ঢাকা, শনিবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৯ জুলাই ২০২৫, ২৩ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

আপা আর আসবেন না: তাসনিম খলিল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:২৭, জুলাই ১৮, ২০২৫
আপা আর আসবেন না: তাসনিম খলিল বক্তব্য দিচ্ছেন তাসনিম খলিল

নেত্র নিউজের এডিটর-ইন-চিফ তাসনিম খলিল বলেছেন, আপা (শেখ হাসিনা) আর আসবেন না, আমার ধারণা। পতিত স্বৈরশাসক দুনিয়ার কোথাও ফেরত আসে না।

সম্প্রতি দ্য পোস্টের ‘সেই প্রশ্ন রেখে গেলাম’ অনুষ্ঠানের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তাসনিম খলিল বলেন, ‘পতিত স্বৈরশাসক দুনিয়ার কোথাও ফেরত আসে না। গণ-অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরশাসক। যদি শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফেরত আসে, আওয়ামী লীগ যদি আবার কামব্যাক করে তাহলে পলিটিক্যাল সাইন্সের অনেকগুলো বই বিনে (ময়লার ঝুড়িতে) ফেলে দিতে হবে। বাংলাদেশে একটা জিনিস কি জানেন? আমরা মনে করি যে আমরা খুব এক্সেপশনাল। মানে আমাদের দেশের মতো দেশ আর কোনোটা নাই। এটা আসলে সত্য না। আমরা খুব খুব খুব টিপিক্যাল একটা দেশ। খুব টিপিক্যাল একটা কলোনিয়াল। পোস্ট কলোনিয়াল একটা স্টেট। আমাদের এখানে যা কিছু হয় অন্য কোনো না কোনো জায়গায়, কোনো না কোনো ফরমেটে এইটা হয়ে গেছে আগেই। ’

তিনি আরও বলেন, ‘পলিটিক্যাল সাইন্সের যদি আমি হিস্ট্রি দেখি—দুনিয়াতে কোনো নজির নেই গণ-অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার ফেরত আসে। মিলিটারি ক্যুতে পতিত স্বৈরাচার বা হু এভার পতিত লিডার ফেরত আসে। তবে গণ-অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার ফেরত আসে না। তার বাচ্চাকাচ্চা হয়তো আসতে পারে, সেটা কয়েক জেনারেশন পরে কিন্তু সে ফেরত আসে না। ’ 

তাসনিম খলিল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মরে গেছে ২০১৮ সালেই। শেখ হাসিনার আমলেই আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে গেছে। দলটি গণ-অভ্যুত্থানে শেষ হয়নি। আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে ২০১৮  সালে এবং এরপরে আওয়ামী লীগ কোনটা আর রাষ্ট্র কোনটা আর পুলিশ কোনটা ডিজিএফআই কোনটা। যে দলের কামরাঙ্গীরচর শাখার সাধারণ সম্পাদক কে হবে সেটা ঠিক করে দিত ডিজিএফআই। এটা কি কোনো পলিটিক্যাল পার্টি। আওয়ামী লীগ ওই পর্যায়ে গেছিল। ওটা আর পলিটিক্যাল পার্টি ছিল না। ’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা বিরাট অংশের লোক মরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ঠেকানোর কাজ করবে। ’

অপর এক প্রশ্নে সাংবাদিক তাসনিম খলিল বলেন, ‘বিএনপি মিনিমাম আরো ৩ টার্ম ক্ষমতায় থাকবে। এটা আমার ইনফর্মড ধারণা। এটা আমি এমনিই বলতেছি না। এটা ভালো না আমাদের জন্য। ইনফ্যাক্ট এটা বিএনপির লিডারশিপও জানে। বিএনপিও চায় যে একটা শক্ত বিরোধী দল থাকুক। আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত বিরোধী দল কেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে মুসলিম লীগের জায়গাতেও যাওয়া সম্ভব না। এজন্য আমরা তো সবাই এনসিপির কথা ভাবছিলাম। যে এনসিপি উইল বি ভেরি স্ট্রং অপজিশন পার্টি। এনসিপি তো ওই রাস্তাতেই যায় না। এনসিপি একটা সার্কাস পার্টি হইছে। আনফরচুনেটলি। ’

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।