রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) গুলশান থানার এসআই আঞ্জুমান আরা এ বিষয় নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ সমন্বয়কের নামে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
এর আগে এ ঘটনায় শনিবার তাদের আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন: মো. সিয়াম (২২), সাদমান সাদাব (২১), মো. আমিনুল ইসলাম, ইব্রাহীম হোসেন (২৪) ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৩)।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পাঁচজন যুবক। তিনি পলাতক থাকায় তার স্বামীর কাছে এ চাঁদা দাবি করা হয়। কয়েক দিন আগে তারা ওই বাসায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তারা আবার ওই বাসায় যায় স্বর্ণালংকার আনতে। সে সময় বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রিয়াদসহ সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক তিন নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাবকে সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।
এ ছাড়া একই অভিযোগে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের দুই নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কতিপয় ব্যক্তি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে যায়। সেখানে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় নেতা জানে আলম অপু ও আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমানের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
এমএমআই/এমইউএম