উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্টাফ এবং উদ্ধারকারীদের চিকিৎসা ও কাউন্সিলিং সহায়তা দিতে ক্যাম্প চালু করেছে বিমান বাহিনীর মেডিকেল টিম। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে মেডিকেল টিম তাদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করে।
প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ভবনের যে কক্ষে বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট তৌকির প্যারাসুট নিয়ে পড়ে যান, তার পাশের একটি কক্ষে স্কোয়াড্রন লিডার শিহাবুল ইসলাম ও স্কোয়াড্রন লিডার ইসরাতের নেতৃত্বে ১৫জন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন।
সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৮০ জন চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। আহতদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করবে মেডিকেল টিম।
বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার ওয়ালি বলেন, আগামী ৩ জুন পর্যন্ত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, স্টাফ ও উদ্ধারকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
প্রয়োজনে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উচ্চতর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আহতদের নেওয়া হবে। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হলেও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান জানান তিনি।
ক্যাম্প থেকে চিকিৎসা নেওয়া স্কুলের স্টাফ সুফিয়া খাতুন জানান, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ভয় পেয়েছিলাম। শরীরে এখনো জ্বর আছে। আজ বিমানবাহিনীর ডাক্তার আসবে শুনে এসেছি। ডাক্তার ওষুধ দিয়েছেন। প্রয়োজনে আবার আসতে বলেছেন।
২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী।
জেডএ/আরএইচ