খুলনায় এবার অপরাধের অন্ধকার জগতের সদস্যরা শিকার হচ্ছেন টার্গেট কিলিংয়ে। মাদকের টাকা ভাগাভাগি, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি কিংবা পূর্বশত্রুতার জের ধরে বিভিন্ন গ্যাং (সন্ত্রাসী গ্রুপ) নিজেদের মধ্যে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হত্যা, পাল্টা হত্যার ঘটনা ঘটছে। অনেক মামলার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। পুলিশের অভিযানে সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে অপরাধের রাজ্যে সক্রিয় হয় শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। দেশের বাইরে কিংবা ভিতরে আত্মগোপনে থেকেও অপরাধের সাম্রাজ্য পরিচালনা করে। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, খুলনায় মূলত মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি নিয়ে খুনাখুনির ঘটনা ঘটছে।
জানা যায়, গত ১১ মাসে নগরীতে ৩০টির বেশি হত্যাকা- ঘটেছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ মাদক আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে হত্যা-পাল্টা হত্যার ঘটনা। ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর ১১ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকুজ্জামান রাসেল ওরফে পঙ্গু রাসেল (২৭) দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। একই বছরের ৩০ জানুয়ারি ময়লাপোতা মোড়ে বিহারি রানা গুলিতে নিহত হন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর এলাকায় ফিরলে তিনি টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হন।
এদিকে খুলনা নগরীতে অপরাধ তৎপরতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত) খন্দকার হোসেন আহমেদ জানান, অপরাধীদের গতিবিধি নজরদারিতে রয়েছে। প্রতিটি হত্যার পর দ্রুতই আসামিদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিাতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন