ঢাকা: রাজধানীর মালিবাগের সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনের বেজমেন্টে প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা দুইজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে বলছে, গতকাল রোববার (১০ আগস্ট) ভোরের দিকে সেখানে প্রাইভেটকারটি পার্কিং করা হয়। গাড়িতে তারা দুইজন ছাড়া বাইরের কেউ ছিলেন না।
সোমবার (১১ আগস্ট) বেজমেন্টে পার্কিং অবস্থায় ওই প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরা হলেন নোয়াখালীর চাটখিলের গোমাতলীর বাসিন্দা গাড়িচালক জাকির ও তার চাচাতো ভাই মিজান। গাড়ির নম্বর ধরে প্রাইভেটকার মালিক জোবায়ের আহমেদ সৌরভকে খুঁজে বের করে তার মাধ্যমে দুজনের পরিচয় জানা যায়।
প্রাইভেটকারের ভেতরে চালকের আসনে পাওয়া গেছে জাকিরের লাশ। আর পেছনের আসনে পাওয়া যায় মিজানের নিথর দেহ।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, গাড়িতে তারা দুইজন ছাড়া বাইরের কেউ ছিলেন না। গতকাল গাড়ির মালিক ভোরের দিকে সেখানে গাড়ি থেকে নেমে চলে যান। তখন চালক গাড়িটি আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্কিং করেন। এর আগে মিজান গাড়ি থেকে নেমে গেলেও আবার ওঠেন। সিসিটিভির ফুটেজে এরকম দৃশ্যই দেখা গেছে।
তাদের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মাসুদ আলম বলেন, গাড়ির ভেতর থেকে উল্লেখযোগ্য কিছুই পাওয়া যায়নি। হাসপাতালটিতে নিহতদের গ্রামের এক পরিচিত ভর্তি আছেন। বেজমেন্টে সাফোকেশন থাকে, প্রচণ্ড গরম। গরমের কারণে মরদেহ কিছুটা পচে গেছে। এছাড়া প্রাইভেটকারের দরজাগুলো লাগানো থাকলেও সেগুলোর লক ছিল না।
গাড়ির এসি থেকে কোনো বিষক্রিয়ায় নাকি অন্য কোনো কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ডিসি। তিনি বলেন, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এজেডএস/এইচএ/