রাজধানীর মালিবাগে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনের বেজমেন্টে প্রাইভেট কারের ভেতরে পাওয়া দুই লাশের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে ভুক্তভোগীদের পরিবার মামলা করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক।
তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভুক্তভোগী জাকির ও মিজানের লাশের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। সেখানে জাকিরের বাবা ও মিজানের বোনসহ পরিবারের সদস্যরা আছেন। ময়নাতদন্ত শেষে তারা থানায় এসে অভিযোগ দেবেন।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় পুলিশ ওই হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখছে। প্রায় ৩২ ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু তাদের চোখে পড়েনি। তবে মৃত্যুর মূল কারণ ময়নাতদন্ত ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখা শেষে বলা যাবে।
এর আগে সোমবার সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেজমেন্টে পার্কড অবস্থায় প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে জাকির ও তার চাচাতো ভাই মিজানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাদের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলের গোমাতলী এলাকায়। প্রাইভেট কারের ভেতরে চালকের আসনে পাওয়া যায় জাকিরের লাশ। আর পেছনের আসনে পাওয়া যায় মিজানের নিথর দেহ।
লাশ উদ্ধারের পর রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, গাড়িতে তারা দুজন ছাড়া বাইরের কেউ ছিলেন না। গতকাল গাড়ির মালিক ভোরের দিকে সেখানে গাড়ি থেকে নেমে চলে যান। তখন চালক গাড়িটি আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্ক করেন। এর আগে মিজান গাড়ি থেকে নেমে গেলেও আবার ওঠেন। সিসিটিভির ফুটেজে এরকম দৃশ্যই দেখা গেছে।
তাদের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মাসুদ আলম বলেন, গাড়ির ভেতর থেকে উল্লেখযোগ্য কিছুই পাওয়া যায়নি। হাসপাতালটিতে নিহতদের গ্রামের এক পরিচিত ভর্তি আছেন। বেজমেন্টে সাফোকেশন থাকে, প্রচণ্ড গরম। গরমের কারণে লাশ কিছুটা পচে গেছে। এ ছাড়া প্রাইভেট কারের দরজা লাগানো থাকলেও সেগুলোর লক ছিল না।
গাড়ির এসি থেকে কোনো বিষক্রিয়ায় নাকি অন্য কোনো কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ডিসি। তিনি বলেন, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এসসি/আরএইচ