রাজধানীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গা নদীর পৃথক স্থান থেকে এক শিশু ও তিন প্রাপ্তবয়স্কসহ মোট চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, তারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারে।
রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেরানীগঞ্জ মাদারীপুর জামে মসজিদের সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পচনশীল অবস্থায় এক নারী ও এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। দুজনের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ বছর।
কেরানীগঞ্জের বরিশুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুক্তার হোসেন জানান, উদ্ধার করার সময় দেখা যায় যুবকের ডান হাত ও নারীর বাম হাত একই রশির সঙ্গে বাঁধা ছিল। পাশাপাশি ২৫ কেজি ওজনের একটি চালের বস্তা বাঁধা ছিল। বিষয়টি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সিআইডি ফরেনসিক বিভাগ ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে মরদেহ দুটি শনাক্তের চেষ্টা করছে।
এর আগে একই দিন দুপুরে সদরঘাট নৌ-পুলিশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে আরও দুটি লাশ উদ্ধার করে। এদের মধ্যে আনুমানিক পাঁচ বছরের এক শিশু ও ৩৫ বছরের এক নারী রয়েছেন।
সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. সোহাগ রানা বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনাতেও পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। তবে মরদেহ দুটি বেশি পচে যাওয়ায় আঙুলের ছাপ সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। পুলিশ ধারণা করছে, নিহত দুজন মা ও সন্তান হতে পারে। তাদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
চারটি লাশেরই সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ময়নাতদন্ত সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া নারী ও শিশুর শরীরে সরাসরি হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। অন্যদিকে পুরুষ ও নারীর মরদেহ থেকেও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, যা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এজেডএস/এমজে