ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

বরিশালের মানুষের কাছে আসার ‘হ্যাডম’ নাই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার: রনি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩৩, আগস্ট ২৫, ২০২৫
বরিশালের মানুষের কাছে আসার ‘হ্যাডম’ নাই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার: রনি সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।

বরিশাল: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অথর্ব, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ওই ‘হ্যাডম’ টা নাই যে বরিশালের মানুষের কাছে আসার বা বরিশালের মানুষের কথাগুলো শোনার। তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য আশ্বাস দেওয়ার ‘হ্যাডম’ টা তার নেই।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যখন অনশনে বসেছিলেন তখন তারা বলেছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বরিশাল না আসলে অনশন ভাঙবেন না কিন্তু সেটা না হয়ে পরিকল্পিত হামলা করে শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে আমাদের প্রত্যাশা করার তেমন কিছু নেই। তার থেকে আমাদের জনগণ অনেক বেশি উপযোগী ও পাওয়ারফুল এটা আমরা বিশ্বাস করি। তাই তার মতো এত নগণ্য ব্যক্তিকে কেন পিউরিটি দিতে যাব। আমরা রাষ্ট্রের কাছে চেয়েছিলাম সমস্যার সমাধান এখন রাষ্ট্র যেভাবে পারবে সে সমস্যার সমাধান করে দেক। সরকারকে আমরা বলবো অতি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেন, যারা সামনে দায়িত্ব নিয়ে জনতার কথা বলতে আসবে তারা যেন তাদের নির্বাচনী ইশতিহারে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের বিষয়টি ও দাবিগুলো রাখে। আমরা এখন অতি দ্রুত নির্বাচন কামনা করছি।  

রনি আরও বলেন, শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বাংলাদেশের সব সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের তিন দফা থেকে বর্তমানে চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। প্রায় এক মাস ধরে চলা আন্দোলনে শের ই বাংলা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বার বার জানান দিচ্ছে যে, কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তারা অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি প্রায় ১০০টি অচল মেশিন সচল করেছে, নতুন ১০০টি সিলিং ফ্যান লাগানো হয়েছে, ৪৬ জন সরকারি ট্রলিম্যান নিয়োগ দিয়েছেন এবং হরিজন সম্প্রদায়ের লোকসহ নতুন কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু আমরা চাচ্ছি সাময়িক সমস্যার সমাধান নয়, সমস্যার সমাধান টেকসই হোক। তারা সময় চাচ্ছে, যার আগে আমরা চাচ্ছি বরিশালের সব শ্রেণি পেশার মানুষ অর্থাৎ স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আলোচনা করতে। এজন্য আমরা আগামীকাল দুপুর ১২টায় বরিশালের বিভিন্ন স্তরের নাগরিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবো।

তিনি বলেন, আমরা সবাই শিক্ষার্থী, তাই আমাদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে হবে, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বসতে হবে। আর স্থায়ী সমাধান না হলে তখন সিন্ডিকেট আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সিন্ডিকেট যে আবার বাসা বাঁধবে না, এ সমস্যা আবার হবে না, এটার গ্যারান্টি কে দেবে। এজন্য আমাদের দাবি যে, মেনে নেওয়া হয়েছে সে লক্ষ্যে একটা লিখিত আশ্বাস দেওয়া হোক। আমাদের আন্দোলনের এখন একটা মিনিমাম সফলতা এসেছে, এখন এটিকে আমরা টেকসই করতে চাই।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের সুহান একজন জুলাইযোদ্ধা, জুলাই বীর। তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের তোপের মুখে কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়। সুহান কারাগারে বসেও অনশনে ছিলেন। সুহান যখন মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছিল, তখন তাকে ‘ডেভিল’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এটা হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি ঘৃণ্যতম অ্যাকশন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ বরিশালে যারা ‘ডেভিল’ তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলছে এটাও আমরা দেখছি। বিএনপির অফিস পোড়ানো মামলায় যারা আসামি তারও আছে এটাই দেখছি। সাংবাদিক ভাইয়েরা এটা তদন্ত করে দেখবেন। ‘ডেভিল’ আখ্যা দিয়ে জুলাইযোদ্ধাকে কারাগারে পাঠানো মানে এখানকার পুলিশ কমিশনার শেখ হাসিনার পারপাস সার্ফ করছেন। শেখ হাসিনা চেয়েছিল জুলাইযোদ্ধাদের হেনস্তা করে খতম করতে হবে, আর এ পুলিশ কমিশনার সেটাই করেছেন।  

তিনি বলেন, দেশের একটা বড় সেক্টর স্বাস্থ্যখাত, আর সেই স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলন সফল না করে কোনোভাবেই ঢাকায় যেতে পারছি না। আমি আশা করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি মার্জনা করবে এবং বিশ্বাস করি তারা বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।  

এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।