যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল এম. খান। এই সম্মানজনক পদে উন্নীত হয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান, যিনি মার্কিন সামরিক বাহিনীর এই মর্যাদাপূর্ণ পদে আসীন হলেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। পোস্টে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল এম. খানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়, ‘তিনি আমেরিকান শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক এবং বাংলাদেশি-আমেরিকান সম্প্রদায়ের পথপ্রদর্শক। ’
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ জুন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫৫ জন সামরিক কর্মকর্তাকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং ১৫ জনকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতির জন্য মনোনীত করেন। সেই তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন ইউএস এয়ার ফোর্সের কর্মকর্তা শরিফুল খানও।
২০ আগস্ট তার নতুন পদে অভিষেক হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. ওসমান সিদ্দিক এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ এক পোস্টে অভিষেক অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি নিজেও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইতিহাস গড়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইট অনুসারে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল এম. খান বর্তমানে ‘গোল্ডেন ডোম ফর আমেরিকা’ কর্মসূচির স্টাফ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দায়িত্বে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বহুস্তরীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা উদ্যোগের কৌশল, নীতি, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সমন্বয় করে থাকেন।
তিনি সরকারি সংস্থা, শিল্পখাত, বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তুলতে কাজ করছেন।
১৯৯৭ সালে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স একাডেমি থেকে কমিশন লাভ করেন শরিফুল খান। এরপর তিনি স্যাটেলাইট অপারেটর হিসেবে মহাকাশভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ, উৎক্ষেপণ ও সিস্টেম ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। ২০০১ সালে কুয়েতের আলী আল সালেম বিমানঘাঁটিতে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া ২০০৭ সালে ‘অপারেশন সাইলেন্ট সেন্ট্রি’র অধীনে সেই ঘাঁটিতে ডিপ্লয়মেন্ট কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন শরিফুল খান।
এসআইএস