দেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের নীতিগত দুর্বলতা, বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের চ্যালেঞ্জ আর আমলাতান্ত্রিক জট—এসব নিয়ে টানা তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য ‘ট্যুরিজম মিডিয়া ফেলোশিপ-২০২৫’ পেয়েছেন কালের কণ্ঠের চিফ বিজনেস এডিটর মো. মাসুদ রুমী।
সোমবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফেলোশিপপ্রাপ্তদের হাতে চেক ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
‘কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়’, ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় নিস্তেজ পর্যটন’ এবং ‘আমলাতন্ত্রের আবর্তে পর্যটন’—এই শিরোনামে মাসুদ রুমীর তিনটি বিশেষ প্রতিবেদন সম্প্রতি কালের কণ্ঠে প্রকাশিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন বিটিবির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সালেহা বিনতে সিরাজ। এ সময় বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সভাপতি তানজিম আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লবসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এটিজেএফবির সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) স্পেশাল করসপন্ডেন্ট তানজিম আনোয়ার বলেন, ‘অষ্টমবারের মতো ফেলোশিপ কার্যক্রমে এবারও সাংবাদিকরা পর্যটনের সম্ভাবনার পাশাপাশি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থারগুলোর সমন্বয়হীনতার চিত্রও গঠনমূলকভাবে তুলে ধরেছেন। প্রকৃত সমস্যাগুলো যত উঠে আসবে দেশের পর্যটন খাত ততই উপকৃত হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিটিবি ১৪৯৮টি পর্যটন গন্তব্য চিহ্নিত করলেও তার মাত্র অল্প কয়েকটি সম্পর্কে পর্যটকরা জানেন। সব গন্তব্যকে পর্যটন পণ্য হিসেবে তৈরি করে প্রচার করতে হবে। ’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিবির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সালেহা বিনতে সিরাজ বলেন, ‘সাংবাদিকরা যদি অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে খাতটির সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন, তবে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে, পর্যটনে নতুন দিগন্ত খুলবে। ’ আর সেই কাজটাই করছেন ফেলোশিপ পাওয়া সাংবাদিকরা।
বিটিবির উপ-পরিচালক ও ফেলোশিপ কর্মসূচির সদস্য সচিব মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘দেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ফেলোশিপ পাওয়া সাংবাদিকরা গত কয়েক মাসে ৩০টির বেশি বিশেষ প্রতিবেদন করে জাতীয় আলোচনায় এনেছেন। ’
মাসুদ রুমী ছাড়াও ফেলোশিপপ্রাপ্ত অন্য সাংবাদিকরা হলেন— জসিম হারুন (দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস), মো. আরিফুর রহমান (বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড), ইয়াসিন রানা সোহেল (পার্বত্য চট্টগ্রাম), আব্দুল্লাহ মজুমদার (বাংলাভিশন), শফিকুল্লাহ সুমন (বাংলাদেশ টেলিভিশন), নিয়ামুল আযীম সাদিক (এনটিভি), মো. আব্দুল্লাহ আল-নূর (সময় টিভি), মু. নাঈম উল হাসান (এখন টেলিভিশন) এবং ইমরুল কায়েস (বাংলা মেইল)।
সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে মাসুদ রুমী এর আগেও একাধিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সিএমও কাউন্সিল কর্তৃক ব্র্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০১২) এবং কভিড-১৯ মহামারির সময়ে সম্মুখসারির সাংবাদিক হিসেবে ‘অ্যামচেম ফ্রন্টলাইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ উল্লেখযোগ্য।
২৬ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মাসুদ রুমী ২০০৯ সালের ১ জুলাই কালের কণ্ঠের সূচনালগ্ন থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে পত্রিকাটির বিজনেস এডিটর ও চিফ বিজনেস এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি শফিক রেহমান সম্পাদিত দৈনিক যায়যায়দিনে সূচনালগ্ন থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। এ ছাড়া, নতুন ধারা, আমাদের সময়, সাপ্তাহিক ২০০০, সায়েন্স ওয়ার্ল্ডসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেণি অর্জনকারী মাসুদ রুমী দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন এবং বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এনডি