বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া ১৭ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাদেরকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সি জানান, ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি কিশোর কিশোরীকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের আইনি সহায়তা দিতে তিনটি এনজিও রাইট যশোর ৫ জন, মহিলা আইনজীবী সমিতি ৭ জন এবং জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ৫ জনকে গ্রহণ করেছে।
যশোর মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি রেখা রানী জানান, পাচার হওয়া এসব কিশোর কিশোরী ভালো কাজের আশায় বিভিন্ন সময় দালালের প্রলোভনে পড়ে সীমান্ত পথে ভারতে যায়। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে মানবাধিকার সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে শেল্টার হোমে রাখে।
রেখা রানী আরও জানান, দুই দেশের বিশেষ ট্র্যাভেল পারমিটে এরা দেশে ফেরার সুযোগ পেয়েছে। এ ছাড়া ফেরত আসা কিশোর কিশোরী যদি দালালের বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় তাহলে তাদেরকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
ফেরত আসা কিশোর কিশোরীরা যেসব আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলো- নদীয়া জেলার চিলড্রেন গার্লস হোম, নদীয়া জেলার ঘূর্ণি জুভেনাইল অবজারভেশন বয়েজ হোম, বিরামপুরের কেদাই কাজী নজরুল ইসলাম চিলড্রেন হোম, বারাসাতের কিশলয় চিলড্রেন হোম, উত্তর ২৪ পরগনার আরকেভি মিশন হোম, কুচবিহারের শহীদ বন্ধনা স্মৃতি আবাস, লিলুয়াহ এর এএমএম হোম, সল্টলেকের সুকন্যা হোম, উত্তর ২৪ পরগনার এশিয়ান সহযাত্রী সৃষ্টি হোম, বহরমপুর মেন্টাল হাসপাতাল ও লিলুয়াহ হোম।
এমইউএম