ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আন্দোলনকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৬, আগস্ট ২৮, ২০২৫
বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আন্দোলনকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের আন্দোলনের পর সরকার বিষয়টি গুরত্ব সহকারে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ; সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। যে কারণে তিনি মনে করেন, এখন আর আন্দোলনকারীদের নতুন কোনো কর্মসূচির প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের পেশাগত দাবিসমূহের যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের নিমিত্ত গঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেটি শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান তিনি।   

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, যারা আন্দোলনে জড়িত, তাদের অভিভাবক ও চাকরিদাতাদের সঙ্গে বসা হবে। হঠাৎ করেই তিনদফা বা সাতদফা বা তার খণ্ডিত অংশ মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়া যায় না। তাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

ফাওজুল কবির খান বলেন, আমরা কমিটি হিসেবেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবো। তিনটি গ্রুপের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো যারা আন্দোলন করছেন, তাদের অভিভাবক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। যাদের কথা উনারা শোনেন, তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করব। আর একটা হচ্ছে প্র্যাকটিক্যাল লেভেলে কি হচ্ছে, কেন এ সমস্যাটা হচ্ছে যারা প্রকৌশলী নিয়োগ দেন পিডব্লিউডি, এলজিইডি, পিডিবি, তাদের সঙ্গে আমরাও বসবো। তাদের সঙ্গে যে শুধু ওয়ার্কিং গ্রুপ বসবে তা নয়, আমরাও বসবো।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শাটডাউন করে দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আশু সমাধান কি— জানতে চাইলে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, যেটা বললাম, এখন এটাই সমাধান। উনারা তো এখন থেকে যেকোনো সময় ওয়ার্কিং গ্রুপের সঙ্গে বসতে পারেন। একদিকে তিন দফা দাবি আছে আরেক দিকে সাত দফা দাবি। আমাদের তো প্রথম শুনতে হবে, বুঝতে হবে। সবকিছু জানতে হবে, আমরা তো এখন ঘোষণা দিতে পারব না তিনদফা মেনে নিলাম বা সাতদফা মেনে নিলাম। এখান থেকে দুই দফা মানলাম, ওখান থেকে এক দফা মানলাম। আগে শুনতে হবে, জানতে হবে, বুঝতে হবে। তারপরই তো করতে হবে।

ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, আমরা জানাতে চাই— আমরা নিরপেক্ষতার সঙ্গে, কারও পক্ষপাতিত্ব না করে এ সমস্যার একটা ন্যায্য সমাধান করার চেষ্টা করব। এ সময় বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বোঝানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের বলেন, আন্দোলন তো করেছেন, সেটা তো হয়ে গেছে, সরকার তো এটা সিরিয়াসলি নিয়েছে। আমরা তো দেখছি। এখন তো আন্দোলন করে কোনো লাভ নেই।

বুধবার আপনারা আহ্বান জানিয়েছিলেন সেটা শিক্ষার্থীরা মানেনি, এখন কি পরিস্থিতি— প্রশ্ন করলে সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা বলেন, আমাদের আহ্বান তারা শুনেছেন। শাহবাগ থেকে তারা ক্যাম্পাসে চলে গিয়েছিলেন। ‌এজন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা সবাইকে বলব এই পরিস্থিতিটা যাতে আর না হয়, কারণ এটা আমরা দেখছি। আমাদের একটু সময় দিতে হবে। একটা দাবি গ্রহণ করলে একদল খুশি হবে, আর একটা দাবি গ্রহণ করলে আরেক দল খুশি হবে। আমাদের তো এটা বিবেচনায় আনতে হবে, এখানে একটা সেতু গড়তে হবে। যাতে দুই পক্ষই এক জায়গায় আসতে পারে। এমন একটা সমাধান যাতে করতে পারি দুই পক্ষই লাভবান হবে।

জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।